Kalighat Skywalk: জট পেরিয়ে শুরু কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ, দেড়বছরেই নির্মাণ সম্পূর্ণ, দাবি পুরসভার
Kolkata: ৪৫০ মিটার দীর্ঘ ১০ মিটার চওড়া হবে কালীঘাটের এই স্কাইওয়্যাক।
কলকাতা: অবশেষে জট পেরিয়ে কালীঘাটে শুরু হল স্কাইওয়্যাক (Skywalk) তৈরির কাজ। আগামী দেড়বছরের মধ্যেই নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কালীঘাট থানা (Kalighat Police Station) সংলগ্ন এলাকায় বড় গর্ত করে স্কাই ওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আনা হয়েছে অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক মেশিনও। স্কাইওয়াক তৈরির দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
কালীঘাট স্কাইওয়্যাকের কাজ শুরু
পুরসভা সূত্রে খবর, কালীঘাট থানা সংলগ্ন ওই স্কাইওয়্যাকটি ৪৫০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার চওড়া হবে। ওই স্কাইওয়্যাকটি একটি দিক যাবে গুরুপদ রোডের দিকে। কার্যত মন্দিরে যেতে আসতে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের কোনও সমস্যা না হয়, তারজন্যই এই স্কাইওয়্যাক তৈরিতে বিশেষ তৎপর পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, প্রায় ৩৫০ হকারকে নতুন করে জায়গা করে দেওয়া হবে। স্কাইওয়্যাক তৈরি হলে, যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরি হবে সেখানেই প্রত্যেক দোকানিকে বসার জায়গা করে দেওয়া হবে। ১৮ মাসের মধ্যেই মন্দিরের সংস্কার ও স্কাইওয়্যাক তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে স্কাইওয়্যাক নির্মাণ করতে গিয়ে মন্দিরের সামনের রাস্তায় থাকা হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শুরু হয়েছে, মন্দির সংস্কারের কাজ। কিন্তু, সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঢিমেতালে চলছে সংস্কার। স্থানীয় বাসিন্দা ও হকারদের অভিযোগ স্কাইওয়্যাক ও মন্দিরের সংস্কারের জেরে রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ। হাঁটাচলা করতেও সমস্যা। পাশাপাশি, প্রায় ৩৫০ হকারদের রুটিরুজি এখন সঙ্কটে।
হকারদের অভিযোগ, মন্দিরের কাজের জন্য তাঁদের সরিয়ে দিয়ে অন্যত্র জায়গা করে দিলেও বিন্দুমাত্র লাভ হয়নি। উল্টে ক্ষতির মুখ দেখছেন তাঁরা। এক দোকানির কথায়, “রোজ সকালে আসি, দোকান খুলি আর বন্ধ করে চলে যাই। ব্যবসাটা পুরো মার খেয়ে গিয়েছে। একটা ধূপ জ্বালাতে গেলে সেই টাকাটাও উঠছে না।”
কেন সংস্কারে ঢিলেমি? কেনই বা রাস্তা তৈরিতে জটিলতা?
এ প্রসঙ্গে বিধায়ক ও পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “মন্দির সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে আমরা কাজ করতে পারছি না। মন্দির খোলা থাকছে। দর্শনার্থীরা আসছেন। তারমধ্যেই সংস্কারের কাজ চলছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ বিশেষ দিনে ভিড় বাড়ছে। তখন কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফের শুরু করতে হচ্ছে। ফলে সময় বেশি লাগছে।”
একইসঙ্গে, মেয়র পারিষদ আরও জানিয়েছেন, হকারদের কোথায় বিকল্প জায়গা দেওয়া হবে, যেসব হকারদের পাকা দোকান নেই, তাঁদের কোথায় বসতে দেওয়া যায়, এই সব নিয়েই প্রাথমিকভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ৩ বছর আগে মন্দির কমিটির সঙ্গে পুরসভা স্কাইওয়্যাক বিনির্মাণ নিয়ে চুক্তি করে। পানীয় জলের ব্যবস্থা, অতিথিশালা-সহ অন্যান্য নানা পরিষেবা আনার কথা পুরসভার। ২০১৯ সালে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, তখনই সমস্যা মেটেনি। কাজ শুরু করতে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেয়। সেই সমস্যা মিটতেই অবশেষে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়।
কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, মন্দিরে প্রচুর সেবাইতরা রয়েছেন। মন্দির চত্বরে একাধিক দোকান। দ্রুত এই সংস্কারের কাজ শেষ হলে সুবিধা হবে মন্দিরের কর্মী ও দোকানিদের। এখন, নির্ধারিত সময়ে পুরসভা কাজ শেষ করতে পারে কি না সেদিকেই তাকিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ।