Firhad Hakim: বেআইনি নির্মাণ রোধে আরও কড়া ফিরহাদ, লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক
Firhad Hakim: এদিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে প্রশাসনিক এবং পুলিশ কর্তারা ছাড়াও কলকাতা হাইকোর্টের নামী আইনজীবীরাও ছিলেন। তারপরই এই এসওপি কপি তৈরি করা হল বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর থেকেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করে চলেছে কলকাতা পুরনিগম। ইতিমধ্য়েই বরো ১৫ এর প্রায় সব ইঞ্জিনয়রদের বদলির নির্দেশও এসে গিয়েছে। পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণে রাশ টানতে আরও কড়া আইনও আসতে চলেছে। পুরনিগমের বিল্ডিং আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ফৌজদারি আইন। সেই খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। এবার বেআইনি নির্মাণ তৈরির পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কীভাবে ভাঙা হবে, এই সবকিছু নিয়ে কলকাতা পুরনিগম তৈরি করল এসওপি। এদিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে প্রশাসনিক এবং পুলিশ কর্তারা ছাড়াও কলকাতা হাইকোর্টের নামী আইনজীবীরাও ছিলেন। তারপরই এই এসওপি কপি তৈরি করা হল বলে জানা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “কর্পোরেশন আইন মেনে এই ধরনের নির্মাণের ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা আমরা নিতে পারি তা নিয়েই আজ মিটিং করলাম। কর্পোরেশন আরও কঠোর কোন পথে হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। কমিশনার নোটিফিকেশন খুব শীঘ্রই বের করা হবে। এদিনের বৈঠকে ল অফিসার, চিফ ল অফিসার, ডিজি বিল্ডিং ছিলেন, সিএমএলও ছিলেন, সিপি ছিলেন, হাইকোর্টের আইনজীবীরা ছিলেন।”
প্রসঙ্গত, এদিনই আবার মেয়রের ‘চোর’ মন্তব্যের প্রতিবাদে এদিন পথে নামেন পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়াররা। পুরনিগমের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় কর্মরত ইঞ্জিনয়রদের। রাজনৈতিক কারণে তাঁদের উপর খাঁড়া নেমে আসছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলছেন, “কোনও রাজনীতি নেই। কোনও রাজনৈতিক প্রেশার এলে মেয়রের কাছে ছেড়ে দিন। আপনি আপনার কাজ করুন আইন মেনে। রাজনৈতিকভাবে কোনও প্রেশার থাকলে তাঁকে বলুন মেয়রের কাছে গিয়ে কথা বলুন।”