Sarsuna Shootout: পাড়ার বিবাদে পাছে অনর্থ ঘটায় বাবা, প্রাক্তন সেনাকর্মীর হাত থেকে বন্দুক কাড়তেই ছেলের পা এফোঁড় ওফোঁড়!
Kolkata: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও একটি বিষয় নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে অশান্তি হয়। তারপরই গুলি শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা।
কলকাতা: বাড়ির সামনে রোজই বসত মদের আসর। চিত্কার-চেঁচামেচি, হই হট্টগোল, অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা- পাড়ারই কয়েক জন যুবকের কাজে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। এর আগেও একাধিকবার প্রতিবাদ করেছিলেন। কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবারও ঘটে সেই একই ঘটনা। বাড়িতে রাখা বন্দুক নিয়ে ভয় দেখাতে যান তিনি। পাছে বাবা কোনও অপ্রীতিকর কাজ করে ফেলেন, বাধা দিতে আসেন বড় ছেলে। বন্দুক হাত থেকে কেড়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। কিন্তু তাতেই ঘটে যায় বিপর্যয়। বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে লাগে পোষ্যের গায়ে। আর বড় ছেলের পা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় গুলি। মর্মান্তিক ঘটনা সরশুনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাবা প্রবীণ কুমারকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীণ কুমার প্রাক্তন সেনাকর্মী। স্বাভাবিকভাবে কঠোর অনুশাসনের জীবন যাপনে অভ্যস্ত তিনি। কিন্তু তাঁরই বাড়ির সামনে রোজ মদের আসর বসাত পাড়ার ছেলেরাই। তাদেরকে একাধিকবার বারণ করেছেন তিনি।
ভয় দেখিয়েছেন, শাসন করেছেন- কিন্তু পাড়ার ছেলেদের কোনওভাবেই আয়ত্তে আনতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার রাতেও বাড়ির সামনে মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করছিল ওই যুবকরা। প্রতিবাদ করেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। বচসা বেধে যায়। মেজাজ হারিয়ে ফেলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। ঘর থেকে বন্দুক বার করে আনেন।
বাবাকে অত্যন্ত রেগে যেতে দেখে ছুটে আসেন বড় ছেলে। বাবাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। হাত থেকে বন্দুক কেড়ে মাটিতে আছাড় মারেন। তখনই বিপর্যয় ঘটে যায়। পুত্রবধূ বলেন, “আমার শ্বশুর রাত তখন সবে খেয়ে উঠেছেন। আমাদের বাড়ির সামনে প্রতিদিন পাড়ার ছেলেগুলো বসে মদ খায়, গালিগালাজ করে। রাত দেড়টা-দুটো পর্যন্ত ওসব চলে। কাল শ্বশুরমশাই খেয়ে বাড়ির গেটে সামনে গিয়েছিলেন। ওরা গেটে লাথি মারে, বেল বাজিয়ে চলে যায়। শ্বশুরমশাই শুধু গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। পাড়ার ছেলেগুলোই গালি দেয়। আমি ডেকে নিয়ে এসে তালা দিয়ে দিই। আমার শ্বশুরমশাই গান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। দাদাকে ডাকি। দাদা বাবার হাত থেকে বন্দুক নিচ্ছিলেন। তখন বন্দুক নিয়ে ফেলে দিয়েছে। তখনই গুলি ছিটকে লেগে যায়। আমাদের কুকুরটার গায়ে লাগে। ওই গুলিটাই ছিটকে এসে দাদার পায়ে লাগে।”
গুলি শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। এরপর পাবণ্য কুমার নামে ওই যুবকের আর্তনাদ শুনতে পান তাঁরা। বিপদ আঁচ করেই প্রবীণ কুমারের বাড়িতে যান। ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।
ছেলে পাবণ্যর পা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রাই তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর যায় থানায়। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Unknown Fever: ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা, হচ্ছে শ্বাসকষ্টও! উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা