Mamata Banerjee: মঙ্গলে বীরভূমে মমতা, সেদিনই ডেরায় ফিরতে পারেন ‘বাঘ’
Mamata Banerjee: তৃণমূলের অন্দরে এটা সর্বজনবিদিত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরাবরেরই স্নেহের পাত্র অনুব্রত মণ্ডল। মমতা তাঁকে কেষ্ট বলেই ডাকেন বরাবর। এর আগেও দেখা গিয়েছে, অন্য কোথাও যাওয়ার সময়েই বীরভূমে 'হল্ট' দিয়ে কেষ্টর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: বানভাসি বাংলা। ফের জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। সূত্রের খবর, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা থেকে বর্ধমান হয়ে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। রাতে দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে থাকবেন। সেখান থেকে বীরভূম যাওয়ার সম্ভাবনা। সেখানে দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতেই অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাওয়ার পরে বীরভূমে ঢুকতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই যাওয়া বীরভূমে যাওয়া এদিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জানা যাচ্ছে, সোমবার বর্ধমান জেলাশাসক দফতরে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক রয়েছে। তারপর সেখান থেকে দুর্গাপুর সার্কিট হাউজে থাকতে পারেন মমতা। মঙ্গলবার বোলপুরে প্রশাসনিক সভা। অনুব্রত মণ্ডলও জামিন পেয়ে মঙ্গলবারই বীরভূমে ঢুকতে পারেন।
তৃণমূলের অন্দরে এটা সর্বজনবিদিত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরাবরেরই স্নেহের পাত্র অনুব্রত মণ্ডল। মমতা তাঁকে কেষ্ট বলেই ডাকেন বরাবর। এর আগেও দেখা গিয়েছে, অন্য কোথাও যাওয়ার সময়েই বীরভূমে ‘হল্ট’ দিয়ে কেষ্টর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যতবার নির্বাচনের আগে কেষ্টর মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ নেত্রী। তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ, ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েেছে…’, যা নিয়ে চরম বিতর্ক ছড়ায়। এদিকে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কেষ্ট উন্নয়নের কাজটা সবার থেকে ভালো বোঝে।’
এমনকি অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেও বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সরকারি সভামঞ্চ থেকে তাঁর হয়েই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। মমতা বলেছেন, “কেষ্টকে কতদিন ধরে জেলে ভরে রেখেছে। বীরভূমে চক্রান্ত চলছে। কেষ্টকে বীরভূমের মানুষ ভোলেনি।”
২০২২ সালের ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন কারাগারে। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। তৃণমল অন্দরেই প্রচলিত, কেষ্ট কোনও দিনই নেতা নন, ‘দিদি’র ‘স্নেহধন্য দলের সৈনিক’ হিসাবেই থাকতে চেয়েছেন। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনব’। মঙ্গলে কেষ্ট ফিরতে পারেন তাঁর গড়ে, ঘটনাচক্রে সেদিনই বীরভূমে থাকছেন মমতা।