Calcutta High Court: May Day ক্যান্সেল, ছুটি রাম নবমীতে, কলকাতা হাইকোর্টে কি গেরুয়াকরণ? উঠছে প্রশ্ন
Calcutta High Court: হাইকোর্টের ছুটি নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। এত ছুটি কেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু এবার ছুটির তালিকায় নয়া সংযোজনে রামনবমীর ছুটি দেখে উঠছে প্রশ্ন। কারণ মে ডে তে ছুটি নেই। অথচ রামনবমীতে ছুটি। আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, "মে ডে-র দিন ছুটি আমাদের হাইকোর্টে ছিল। ২০২৭ সালের পর থেকে কোনও কারণ ছাড়াই বাতিল হয়। আমরা পাঁচটি ক্যালেন্ডার সমেত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানিয়েছিলাম যাতে ছুটি দেওয়া হয়। তারপরও আমাদের হাইকোর্টের ক্য়ালেন্ডার অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।"
কলকাতা: হাইকোর্টে ছুটির তালিকায় এবার চমক। সংযোজিত হয়েছে রামনবমীর ছুটি। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীদের একাংশ। অনেকে আবার অবার অবাক হয়েছেন মে ডে-তে ছুটি আবেদন করার পরও যুক্ত হয়নি, অথচ রামনবমীতে ছুটি? তবে কি হাইকোর্টেও গেরুয়াকরণ?
হাইকোর্টের ছুটি নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। এত ছুটি কেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু এবার ছুটির তালিকায় নয়া সংযোজনে রামনবমী। কারণ মে ডে তে ছুটি নেই। অথচ রামনবমীতে ছুটি। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “মে ডে-র দিন ছুটি আমাদের হাইকোর্টে ছিল। ২০২৭ সালের পর থেকে কোনও কারণ ছাড়াই বাতিল হয়। আমরা পাঁচটি ক্যালেন্ডার সমেত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানিয়েছিলাম যাতে ছুটি দেওয়া হয়। তারপরও আমাদের হাইকোর্টের ক্য়ালেন্ডার অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।”
হাইকোর্টে রামনবমীর ছুটির কারণ অবশ্য খতিয়ে দেখতে দেখতে চাইছেন না বিজেপিপন্থী আইনজীবী। রাম সারা ভারতের দেবতা। তাঁর পুজোর দিনে ছুটি থাকা দরকার বলেই মনে করছেন তাঁরা। বিজেপিপন্থী আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “রাম আমাদের আস্থা। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর শ্রীরাম হচ্ছে সংস্কৃতি। আর আমরা ভারতবাসী। আমাদের সংস্কৃতীকে যে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। আর মে ডে ঐতিহাসিক বিপ্লবের মুহূর্ত। পৃথিবীতে এমন প্রচুর বিপ্লব হয়েছে। এখন সব দিবস যদি ছুটি দেওয়া হয় তাহলে কোর্ট হবে না।”
তৃণমূলপন্থী আইনজীবী অবশ্য কোনও প্রতিবাদ জানননি। উল্টে সাবধানী হয়ে জানিয়েছেন ছুটি বাড়লেই তো ভাল। মে ডে ছুটি যতদিন না পাওয়া যাচ্ছে রামনবমী থাক। “আমরা রথযাত্রা, বুদ্ধপূর্ণিমাতেও ছুটি পেয়েছি। তবে এটা সব জজরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা আমরা একটা ছুটি হিসাবেই দেখছি। তবে এটা গেরুয়াকরণ নয়। রাম আর কৃষ্ণের পুজো সবাই করে। এই নিয়ে বিতর্ক রাখার দরকার নেই।”