Supreme Court: শ্লীলতাহানি করেছেন প্রাক্তন জামাই ! কল্যাণের অভিযোগে কবীরের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court: এই ঘটনায় বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বোস এই এফআইআর-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কবীরশঙ্কর বোসের সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে।

Supreme Court: শ্লীলতাহানি করেছেন প্রাক্তন জামাই ! কল্যাণের অভিযোগে কবীরের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
কল্যাণের মামলায় কবীরশঙ্করের বিরুদ্ধে CBI নির্দেশ Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2024 | 12:41 PM

নয়া দিল্লি: বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বোসের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত। তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগারত্না এবং পঙ্কজ মিথালের ডিভিশন বেঞ্চ।

ঘটনাটি ২০২০ সালে। তিনি শ্রীরামপুর এলাকায় বিজেপির হয়ে প্রচার করছিলেন। সে সময়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, কবীরশঙ্কর বোস, তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন, বিশেষত মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানি করেছেন। সে সময়ে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়। রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

এই ঘটনায় বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বোস এই এফআইআর-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কবীরশঙ্কর বোসের সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীও তাঁরা। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপর ভরসা রাখতে চায়নি। সে কারণেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই কেসের যাবতীয় তথ্য সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তর করতে।

পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবীরশঙ্কর।  ২০১০ সালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে প্রমিতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।২০১৭ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।  ২০১৯ সালে রাজনীতির ময়দানে পা দেন তিনি।  গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হয়েছিলেন কবীর। এবার প্রাক্তন শ্বশুরের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই কবীরশঙ্করের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।