Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata: বাড়িতে পচছে ৩টি দেহ-বাবা, মা, ছেলের, দুর্গন্ধে ঢেকেছে গড়িয়া

Kolkata: দেখা যায় বাড়ির মধ্যে তিনটি ঘরে ঝুলছে তিনজনের মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই সেগুলিকে পচনও ধরে গিয়েছে। তারই গন্ধে ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসনে।

Kolkata: বাড়িতে পচছে ৩টি দেহ-বাবা, মা, ছেলের, দুর্গন্ধে ঢেকেছে গড়িয়া
শোরগোল গোটা এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2024 | 4:37 PM

কলকাতা: গত শনিবার থেকে কারও দেখা মেলেনি। বাড়ি থেকেও মিলছিল না কোনও সাড়াশব্দ। এরইমধ্যে গত একদিন থেকেই পচা গন্ধে ঢেকে যেতে থাকে এলাকা। সময় যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে দুর্গন্ধের দাপট। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা খোঁজ খবর শুরু করেন। বেলও বাজান। কিন্তু, কেউ সাড়া না দেওয়াতেই বাড়ে উদ্বেগ। শেষ পর্যন্ত খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ আসে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই চোখ কপালে উঠে যায় সকলের। দেখা যায় বাড়ির মধ্যে তিনটি ঘরে ঝুলছে তিনজনের মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই সেগুলিকে পচনও ধরে গিয়েছে। তারই গন্ধে ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসনে।

সূত্রের খবর, এই আবাসনেই এক বয়স্ক দম্পতি ও তাঁদের ছেলে থাকতেন। তিনজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু, কেন আচমকা বাড়ির সবাই একযোগে আত্মহত্যা করতে গেলেন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে মৃত্যুর পিছনে আর অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের। মৃত্যু হয়েছে স্বপন মৈত্র (৭৫), অপর্ণা মৈত্র (৬৯) ও তাঁদের ছেলে সুমন রাজ মৈত্রের। 

ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে পাথর অপর্ণা মৈত্রের ভাই দেবাশিস ঘোষ। তিনি বলেন, “আমার দিদি জামাইবাবু ২ জনেই অসুস্থ ছিলেন। জামাইবাবুর কয়েক বছর আগে বাইপাস সার্জারিও হয়। তারপর থেকে শরীরটা বিশেষ ভাল ছিল না। ওদেরকে দেখার জন্যই আমার ভাগ্নে পুরোপুরি বাড়িতে থাকত। আমি তো শেষ ২৮ তারিখ এসেছিল। তখনও কিছু বুঝিনি। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। নিজের হাতে কেক বানিয়ে খাইয়েছিল আমার ভাগ্নে। আজ খবর পেয়ে এসে দেখি এই ঘটনা। কেন করল, কী করল কিছুই বুঝতে পারছি না।”