AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Poster Controversy: ‘৬ মাসের মধ্যে ঝাঁপ গুটিয়ে যাবে’, পোস্টার বিতর্কে মুখ খুললেন শুভেন্দু

Poster Controversy: শহরের রাস্তায় দেখা মিলছে এক পোস্টারের। লেখা রয়েছে, ৬ মাসের মধ্যে আসনে নতুন তৃণমূল। সঙ্গে রয়েছে অভিষেকের ছবি।

Poster Controversy: '৬ মাসের মধ্যে ঝাঁপ গুটিয়ে যাবে', পোস্টার বিতর্কে মুখ খুললেন শুভেন্দু
পোস্টার বিতর্কে মুখ খুললেন শুভেন্দু
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 2:46 PM
Share

কলকাতা : ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবসের পরের দিন থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হওয়ার পর অনেক সমীকরণ বদলে গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এরই মধ্যে বিতর্ক বাড়িয়েছে শহরের এক নয়া পোস্টার। ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল আনার বার্তা দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টারে। সেই পোস্টার প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘ছ’ মাস পর আর এই দলটা থাকবে না। ডিসেম্বর ডেডলাইন। তারপর ঝাঁপ গুটিয়ে যাবে।’

পোস্টারটি তৃণমূলের তরফ থেকে দেওয়া না হলেও, অভিষেকের ছবি আর নতুন তৃণমূলের বার্তার সঙ্গে শাসক দলের যোগ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেই মনে করথে ওয়াকিবহাল মহল। কেউ কেউ বলছেন, ভাবমূর্তি বদলাতে এমন বার্তা দেওয়া হচ্ছে না তো?

পোস্টার প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এ দিন শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এবার থেকে নতুন ভাবে তোলা তোলা হবে। তোলা তোলার নতুন সিস্টেম আনছে ওরা। তাই এই ব্য়ানার দেওয়া হয়েছে।’ এরপরই বলেন, ‘ছ’ মাস পর আর এই দলটাই থাকবে না।’

কী সেই পোস্টার? তৃণমূলের যোগ আছে?

দক্ষিণ কলকাতা দিয়ে গেলেই রাস্তার পাশে চোখে পড়বে সেই পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে ‘আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল।’ অপর একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। এই লড়াই আমাদের ২৪ এর লড়াই।’ আর সেই পোস্টারে বড় করে রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে তৃণমূলের পোস্টার বলেই মনে হবে। তবে পোস্টারের নীচের দিকে লেখা রয়েছে, দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আশ্রিত’ ও ‘কলরব’-এর নাম।

যেহেতু সাম্প্রতিককালে অভিষেকের মুখে নতুন তৃণমূলের বার্তা শোনা গিয়েছে, আর যেহেতু পোস্টারগুলি পড়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরের আশপাশে, তাই পোস্টারের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের যোগ থাকার কথা মনে করছেন কেউ কেউ।

শুদ্ধিকরণের বার্তা বলে মনে করছেন বিরোধীরা

পোস্টার প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করেন, যে দিন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে দিল্লিতে কয়লা-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সে দিন থেকে অভিষেকের নেতৃত্বে নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদের কথায়, তৃণমূলে এত দুর্নীতি যে সোডা দিলেও শুদ্ধ হবে না। চোরদের দল সাধুদের দলে রূপান্তরিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

কী বলছেন তৃণমূল নেতারা?

শাসক দলের নেতারা অবশ্য এই পোস্টারের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন। রাজ্য়ের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় স্পষ্ট জানান, কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দেওয়া পোস্টার সম্পর্কে মন্তব্য করবেন না তিনি। দলের পোস্টার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তবেই উত্তর দেবেন।

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও জানান, পোস্টারের কথা তাঁর জানা নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, দলের নবীকরণ হতেই পারে, তবে পোস্টারের কথা তাঁর জানা নেই।

কে এই পোস্টার দিল? কেনই বা পোস্টার পড়ল? তা স্পষ্ট না হলেও আপাতত রাজ্য় রাজনীতিতে চর্চার অন্যতম বিষয় এই পোস্টার।