Kolkata Police Commissioner: ‘৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চাই’, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকের চিঠি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

Kolkata Police Commissioner: রিপোর্ট কেন দেওয়া হল না? চিঠিতে সেই প্রশ্নই করা হয়েছে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে।

Kolkata Police Commissioner: '৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চাই', কলকাতার পুলিশ কমিশনারকের চিঠি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
বিনীত গোয়েল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2023 | 12:31 PM

কলকাতা : রিপোর্ট চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে (Police Commissioner) চিঠি (মেল) দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। মানবাধিকার সংগঠনের ওপর হামলার যে অভিযোগ উঠেছিল হত বছরের শেষের দিকে, সেই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরও সেই ঘটনায় কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। সে কারণেই এবার চিঠি দেওয়া হল। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট কেন দেওয়া হল না? চিঠিতে সেই প্রশ্নই করা হয়েছে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে। রিপোর্ট না পাঠালে ডেকে পাঠানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এবং ১৩ অক্টোবর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে রাজ্যের এক মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই কর্মীদের হেনস্থা ও গ্রেফতারির অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যের ওই সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তলব করা হয় কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মনোজ মালব্যকে তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। আইএসএফ কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছিল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। এরপর মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দিল্লিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিপিকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ উঠেছিল, ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে আইএসএফের প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি জয়ী হওয়ার পর তৃণমূলের কর্মীরা আইএসএফ কর্মীদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। মেরে মাথা পর্যন্ত ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল মানবাধিকার কমিশনে।