AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uttar banga rashtriya parivahan: NBSTC হোক বা SBSTC, মাথায় বিপদ নিয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা, কেন?

শিলিগুড়ি থেকে ইসলামপুরের মধ্যে চলাচল করছে এই বাসটি। কোচবিহারে আরটিও থেকে রেজিস্টার্ড এই বাসের নম্বর wb63a 0306। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এর ফিটনেস বাতিল হয়েছে।

Uttar banga rashtriya parivahan: NBSTC হোক বা SBSTC, মাথায় বিপদ নিয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা, কেন?
ছুটঠে আনফিট বাসImage Credit: Tv9 Bangla
| Updated on: Sep 06, 2025 | 9:24 PM
Share

প্রসেনজিৎ চৌধুরী, মনোতোষ পোদ্দার, চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়ের রিপোর্ট

কলকাতা কয়েকদিন আগে বিধায়ক শওকত মোল্লার কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মহম্মদ তাজউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির। সেই ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নামে। দেখা যায়, বিধায়কের কনভয়ে যে পুলিশের গাড়ি ছিল তার মেয়াদ আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন ওঠে রাস্তায় তাহলে কী ভাবে চলছে এই গাড়ি। পরবর্তীতে দেখা গেল শুধু এই গাড়িটিও নয়, সরকারি বাসের একাংশ হাল এমন। ফিটনেস নেই। তারপরও যাত্রীদের নিয়ে ছুটছে সরকারি বাস। একদিকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা, অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন বাসে দুর্ঘটনা হলে বিমাও মিলবে না যাত্রীদের। তবুও এটাই রোজনামচা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমে।

 

শিলিগুড়ি থেকে ইসলামপুরের মধ্যে চলাচল করছে এই বাসটি। কোচবিহারে আরটিও থেকে রেজিস্টার্ড এই বাসের নম্বর wb63a 0306। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এর ফিটনেস বাতিল হয়েছে। তবুও গত দু’বছর ধরে রোজ যাত্রী নিয়ে ছুটবে বাস। কন্ডাক্টারকে প্রশ্ন করা হলে তার দাবি, ‘কর্তাদের কাছে প্রশ্ন করুন।’ বিষয়টি শুনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরাও। এক ব্যক্তি বলেন, “ইসলামপুর যাওয়ার পথে যদি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে যাত্রীদের দায়িত্ব কে নেবে? সেই সময় প্রশাসন বা যেই আছে সে কিন্তু দায়িত্ব ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। ভুগতে হবে সাধারণ যাত্রীদের।”

তবে কী ভাবছেন? এই ছবি শুধু উত্তরবঙ্গে? দক্ষিণবঙ্গেরও অবস্থা এক। কলকাতার সঙ্গে বিভিন্ন জেলা সদরে যাওয়া এসবিএসটিসি (SBSTC) বাসগুলিরই একই অবস্থা। একাংশ বাসের পাঁচ বছর আগেই ফুরিয়েছে বিমার মেয়াদ। দূষণ পরীক্ষায়ও শিকেয় উঠেছে। বাস চালকরা বললেন, “এইসব তো আমাদের জানা নেই। ডিপার্টমেন্ট জানে সবটা।” কেউ আবার হেসে হেসে বললেন, “অফিসার বলবে। আমি তো সাধারণ কর্মী।” বর্ধমান থেকে কলকাতায় আসার বাসেরও দশা একই। অথচ সাধারণ মানুষের গাড়ির লাইসেন্স-দূষণ ফেল থাকলেই গুনতে হয় কাড়ি-কাড়ি টাকা। এখন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কি এই বাসগুলিতে আদৌ রয়েছে?