Rajanya and Prantik: রাজন্যার AI নগ্ন ছবি ভাইরাল হওয়ার পরও কেন সরব হননি প্রান্তিক?
TMC: তাঁর সংযোজন, 'সেই সময় আমরা সবটাই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। বাংলা কোণায় কোণায় কত মেয়েদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে চলেছে। এবার প্রশ্ন উঠছে, এখন কেন সরব হচ্ছি। কারণ, কিছু ঘটনাই এই প্রতিবাদগুলোকে তৈরি করে।'

কলকাতা: কসবা-কাণ্ড, শিক্ষায় ‘দাদাতন্ত্র’ আর সেই আবহে তাঁর বিকৃত ছবি জুনিয়রদের দেখানো নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মোবাইলে।
কসবা-কাণ্ডের পর রাজন্যা জানিয়েছিলেন, ‘আমার এআই দিয়ে তৈরি করা বিকৃত ছবি কসবা-কাণ্ডের অভিযুক্তের মোবাইলে ছিল। জুনিয়রদের সেই দেখানো হত। পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করত। আমি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত।’ কিন্তু কসবা-কাণ্ড চর্চায় আসতেই কেন সরব হয়েছিলেন রাজন্যা? এই ছবি যে সেই অভিযুক্তের কাছেই রয়েছে তা নিয়ে আগে কেন মুখ খোলেনি রাজন্যা?
বৃহস্পতিবার ঠিক সেই প্রশ্নটাই করা হয়েছিল প্রান্তিক-রাজন্যাকে। যার প্রত্যুত্তরে প্রান্তিক জানান, ‘এটা প্রায় এক বছর আগের কথা। আমরা যখন জানতে পারি, তখন এটা দলের অভ্য়ন্তরীণ বিষয় ছিল। আমরা আমাদের সংগঠনের সিনিয়রকে জানিয়ে ছিলাম। তিনি তখন বলেছিলেন, এগুলো রাজনীতিতে হয়েই থাকে। এটা তোর ছবি নয়। কিন্তু আজ তাদেরই অনেকে বলছেন, রাজন্যার গোপন ছবি বেরিয়ে গিয়েছে। এখন পাপমুক্ত করতে AI দ্বারা তৈরি বলছে।’
তাঁর সংযোজন, ‘সেই সময় আমরা সবটাই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। বাংলা কোণায় কোণায় কত মেয়েদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে চলেছে। এবার প্রশ্ন উঠছে, এখন কেন সরব হচ্ছি। কারণ, কিছু ঘটনাই এই প্রতিবাদগুলোকে তৈরি করে।’
অবশ্য, প্রান্তিকের গলায় ‘প্রতিবাদী’ সুর পাওয়া গেলেও, কসবা-কাণ্ডের পর রাজন্য কিন্তু বলেছিলেন, ‘কারওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানাইনি, কারণ মুখ খুললেই তৃণমূলের দিকে আঙুল উঠত। দলকে অপমানিত হতে হোক তা চাইনি।’

