Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘অভিষেকের জন্য কাজ ছেড়ে আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম…’, কালীঘাটে বললেন সাধ্বী জ্যোতি

Sadhvi Niranjan Jyoti: বুধবার সকালে কলকাতায় কালীঘাটে পুজো দিয়ে গিয়েছিলেন সাধ্বী জ্যোতি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, সে দিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে বসেছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন।

Sadhvi Niranjan Jyoti: 'অভিষেকের জন্য কাজ ছেড়ে আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম...', কালীঘাটে বললেন সাধ্বী জ্যোতি
তৃণমূলের ধরনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মন্ত্রীImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2024 | 12:15 PM

কলকাতা: গত বছরের অক্টোবর মাসে বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লি গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে খোদ পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দফতরে গিয়ে ধরনা দিয়ছিল সেই প্রতিনিধিরা। পরে সেই দফতর থেকে তাঁদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, দফতরে গেলেও মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। এবার কলকাতায় এসে পঞ্চায়েত মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দাবি করলেন, সে দিন আড়াই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।

বুধবার সকালে কলকাতায় কালীঘাটে পুজো দিয়ে গিয়েছিলেন সাধ্বী জ্যোতি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, সে দিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে বসেছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। মন্ত্রী বলেন, “প্রথমে ওরা বলেছিল, ৫ জন দেখা করবে। তারপর বলল ১০ জন দেখা করবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেছিলেন। আমি রাজি হয়েছিলাম দেখা করতে। তারপর ওরা বলল, প্রতিনিধি নয়, জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, আমার খুব কষ্ট হয়, আমি নিজের কাজ ছেড়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম বাংলার মানুষের ভালর জন্য। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষের কথা ভাবা নয়, এদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ধরনা দেওয়া। তিনি আরও বলেন, “আমরা কারও টাকা বন্ধ করিনি। যদি টাকা বন্ধ করাই লক্ষ্য হত, তাহলে অন্যান্য প্রকল্পের সব টাকা বন্ধ করে দেওয়া হত।”

উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে ফিরেও বারবার এই ইস্যুতে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। রাজভবনের সামনে ধরনাও দিয়েছিলেন অভিষেক। সম্প্রতি এই বকেয়া টাকার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।