Saugata On Kalyan: ‘…এটা সমীচীন নয়’ কোন ইস্যুতে কল্যাণকে নিশানা করলেন সৌগত?
Saugata On Kalyan: টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "কোনও সাংসদ যদি ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে নিয়ে বলেন সেটা সমীচীন নয়। একটা স্তরের ব্যাপার আছে। আমি চাইব আমার বিরুদ্ধে যে বলছে সে এতদিন বিধানসভায় থাকবে। কেউ কোনও দিন বিধানসভায় থাকেনি। এমন কেউ বিবৃতি দিলে আমার খারাপ লাগবে।"
কলকাতা: প্রবীণ-নবীন ‘দ্বন্দ্বের’ মধ্যেই তৃণমূলে নাকি চলছে ‘মুষলপর্ব’। কেন? দলের শীর্ষ নেতৃত্বই তোপ দাগছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের সমালোচনায় আরেক সাংসদ সৌগত রায়। তৃণাঙ্কুর ইস্যুতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ সৌগত। দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, দলের বিষয়ে কল্যাণের প্রকাশ্যে সমালোচনা মোটেই সমীচীন নয়।
টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “কোনও সাংসদ যদি ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে নিয়ে বলেন সেটা সমীচীন নয়। একটা স্তরের ব্যাপার আছে। আমি চাইব আমার বিরুদ্ধে যে বলছে সে এতদিন বিধানসভায় থাকবে। কেউ কোনও দিন বিধানসভায় থাকেনি। এমন কেউ বিবৃতি দিলে আমার খারাপ লাগবে।” একা সৌগত নয়, কল্যাণকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও। তিনি বলেন, “কল্যাণ জানেন না তৃণঙ্কুরের মাথায় কার হাত আছে? ক্ষমতা থাকলে তাঁকে গিয়ে বলুক। তৃণাঙ্কুরের মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আছে। ফালতু ভাট বকে। আরে তুই কাঞ্চনকে বলবি। কথা ভেবে শুনে বল। মাঝে-মাঝে এমন কথা বলে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপরে।”
কোন ইস্যুতে এত গন্ডগোল?
রবিবার ডোমজুড় উৎসবের প্রকাশ্য মঞ্চে দলের ছাত্র শাখার সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গ তোলেন আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত থ্রেট কালচারে সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের। কল্যাণ বলেন, “টিএমসিপি-র এতগুলো ছেলে সাসপেন্ড হয়ে গেল, আর টিএমসিপির সভাপতির মুখ থেকে কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে যে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে?”