রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্র সচিব

বৃহস্পতিবারই শহরে পৌঁছেছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি প্রতিনিধি দল। রাজ্যে হিংসার ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল আগেই।

রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্র সচিব
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2021 | 2:47 PM

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রাজ্যে চলছে চাপান-উতোর। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরের দিনই রাজ্যে অশান্তি ও হিংসার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল অমিত শাহের মন্ত্রক। আর গতকাল, বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন সেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। আর এবার সেই পরিস্থিতির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক সারলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রী গোবিন্দ মোহন।

শুক্রবার সকালে রাজভবনে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব। টুইট করে সেই বৈঠকের কথা আগেই জানান রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই সচিবের নেতৃত্বেই বাংলায় এসেছে চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। রাজ্য থেকে ফেরার পর ওই দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দেবে। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই রাজ্যে হিংসার ঘটনার অভিযোগ তুলে রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই চিঠির জবাব না পেয়ে দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয় গত বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই রাজ্যে এসে পৌঁছন কেন্দ্রের ওই প্রতনিধি দল। অবিলম্বে রিপোর্ট না পাঠানো হলে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টাই জ্বলছে চিতা, সময় নেই খাওয়ার, শ্মশানেই কাটছে রাত-মর্মস্পর্শী কাহিনী দিল্লির শ্মশানকর্মীদের

আগেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। এ ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথের দিনও হিংসার নিয়ে তোপ দেগে টুইট করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। যদিও শপথের পর ঘটনার দায় এড়িয়ে মমতা সাফ জানান, গত তিন মাস তাঁর হাতে ছিল না পুলিশ প্রশাসন। এবার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসার পর মমতা বলেন, ‘বিজেপি সংযত হন, মানুষের রায় মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।’ হার মেনে নিতে না পেরে বিজেপিই এ সব করাচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার।