SSC Recruitment: ৯ বছর পর ফের অগ্নিপরীক্ষা SSC-র! ভাগ্য নির্ধারণ প্রায় ৬ লক্ষের, সকাল থেকেই পুরোদমে শুরু প্রস্তুতি
SSC Teacher Recruitment Exam: পরীক্ষার জন্য একাধিক নিয়ম জারি করেছে এসএসসি। এসএসসি জানিয়েছে, পরীক্ষার দিন প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা।

সোমা দাস, মনোতোষ পোদ্দার, কনিষ্ক মাইতির রিপোর্ট
কলকাতা: দীর্ঘ টানাপোড়েন, বারবার আদালতের দরবার, শেষ পর্যন্ত একাধিক প্রশ্ন ফের হচ্ছে এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। তাও আবার ৯ বছর পর। প্রায় ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারন হতে চলেছে। গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পুরোদমে সতর্ক রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু তারপরেও সবরকম বিতর্ক এড়ানো যাবে তো? ফের লাগবে না তো দাগির দাগ? চাপানউতোরের মধ্যে ৩৫ হাজার ৭৫২ পদে হতে চলেছে পরীক্ষা।
একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে এসএসসি
ইতিমধ্য়েই পরীক্ষার জন্য একাধিক নিয়ম জারি করেছে এসএসসি। এসএসসি জানিয়েছে, পরীক্ষার দিন প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা। কিন্তু সকাল ১০টার মধ্যেই চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যেতে হবে। ১০টার মধ্যে আধার কিংবা ভোটার কার্ড নিয়ে না পৌঁছলে ওই চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। সবরকম নিয়ম মেনে পরীক্ষা না দিলে বাতিল হয়ে যাবে উত্তরপত্র। নির্দিষ্ট সময়ের আগে উত্তরপত্রে কিছুই লেখা যাবে না।
অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া কোনওভাবেই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। অ্য়াডমিট কার্ডে থাকবে বার কোড। পাশাপাশি কোনও ইলেকট্রিক জিনিস নিয়েও পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। একইসঙ্গে ভেন্যু ইনচার্জদেরও ফোন নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। কলকাতা থেকে বর্ধমান, সর্বত্রই সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। অনেকেই আসতে হচ্ছে বেশ কিছুটা দূর থেকে ফলে অনেক জায়গাতেই সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। ভিড় বাড়ছে বাসে, ট্রেনে।
জেলায় জেলায় পুরোদমে তোড়জোড়
শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই ৩০টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। পরীক্ষা দেবেন ১৫ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থী। জেলা প্রশাসনের তরফে জেলা স্তরেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল। একই অবস্থা অন্যান্য জেলাগুলির ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৪০,৪০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে নবম-দশমের পরীক্ষার্থী ২১,২৫৫ জন এবং একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষার্থী ১৯,১৪৫ জন। জেলায় মোট ৩৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
