Awas Yojana: আবাস যোজনার টাকা ঢুকেছে অন্য অ্যাকাউন্টে! মানল রাজ্য, ‘ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি’ বলল হাইকোর্ট
Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ক্যানিং - ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। মামলাকারী পাঁচজনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
কলকাতা: আবাসে দুর্নীতির বাসা। এই অভিযোগে উত্তাল হয়েছে বাংলা। বিতর্কের জেরে বারবার বিজেপি নিশানা করেছে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে। তৃণমূল বারবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার খোদ রাজ্য সরকারই কলকাতা হাইকোর্টে মেনে নিল যে অনিয়ম হয়েছে। বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুরের বেঞ্চে রাজ্যের আইনজীবী স্বীকার করে নিয়েছেন আবাসে দুর্নীতির অভিযোগের কথা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ক্যানিং – ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। মামলাকারী পাঁচজনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অর্থাত্, টাকা যাঁদের পাওয়ার কথা, তাঁরা পাননি। যাঁদের পাওয়ার কথা নয়, তাঁরা পেয়েছেন। আর সেই অভিযোগ যে সত্যি, সে কথাই স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি রবি কিষান কাপুর বলেছেন, এটা ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি।
বিডিও (BDO) এবং পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তলব করেছেন বিচারপতি রবি কিষান কাপুর। অবিলম্বে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
এই খবরটিও পড়ুন
২০২১ সালে আবাস যোজনার টাকার জন্য আবেদন করেন সিরাজুল মণ্ডল সহ ওই এলাকার ৫ জন বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে টাকা না আসায় তাঁরা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন। পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয় যে তাঁদের টাকা আসেনি। পরে জানানো হয় যে তাঁরা এই টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য নন। এরপরই মামলা করার কথা ভাবেন তাঁরা।
২০২৩ সালে আদালতে মামলা হয়। স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেই রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি রবি কিষান কাপুর। রিপোর্টে দেখা যায় ৫ জনের মধ্যে ২ জনের প্রথম কিস্তির টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আর বাকি তিন জনের তিনটি কিস্তির টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এই রিপোর্ট দেখার পরই এই কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।