COVID 19 Vaccine: রাজ্যে কোভিড টিকা নষ্টের আশঙ্কা, মজুত ডোজ়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন আসন্ন

COVID 19 Vaccine: মজুত থাকা টিকা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। যাঁদের টিকা নেওয়া বাকি রয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।

COVID 19 Vaccine: রাজ্যে কোভিড টিকা নষ্টের আশঙ্কা, মজুত ডোজ়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন আসন্ন
করোনা টিকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2022 | 5:36 AM

কলকাতা: রাজ্যে কোভিড টিকা (COVID 19 Vaccine) নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, কোর্বিভ্যাক্সের যে পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে, তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার দিন আসন্ন। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু কলকাতা জেলায় কোভ্যাক্সিনের ৯৫০০ ডোজ় মজুত রয়েছে, কোভিশিল্ডে ৬০০০ ডোজ় মজুত রয়েছে এবং কোর্বিভ্যাক্সের ২২০ ডোজ় মজুত রয়েছে। মজুত থাকা টিকা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। যাঁদের টিকা নেওয়া বাকি রয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।

যাঁদের যাঁদের প্রিকশন ডোজ় নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও নেননি; কিংবা যাঁদের আগের ডোজ়গুলি বাকি রয়েছে, তাঁদেরও যাতে টিকাকরণ করা হয়, সেই বিষয়টির উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য ১২ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে কোভিশিল্ডের ২ লাখ ৮৯ হাজার ১২০ ডোজ মজুত ছিল। কোভ্যাক্সিন মজুত ছিল ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৫০ ডোজ় এবং কোর্বিভ্যাক্স মজুত ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৬০ ডোজ। উল্লেখ্য, বুস্টার ডোজ় যাঁদের নেওয়া বাকি রয়েছে, তাঁদের টিকাকরণের উপর এর আগে থেকেই নজর রাখছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার সেই বিষয়টির উপর আরও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিষয়টির উপর জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতেই সমাজের একাংশের মানুষের মধ্যে টিকাকরণের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা গিয়েছে। বুস্টার ডোজ় নেওয়ার সময় এলে গেলেও অনেকেই এখনও সেই ডোজ় নেননি। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মজুত ডোজ়গুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পথে। তাই এবার যাঁদের ডোজ় নেওয়া বাকি রয়েছে, তাঁদের টিকাকরণ সম্পন্ন করতে এবার আরও নজর দিচ্ছে রাজ্য। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই বার বার বলে আসছেন, কোভিড পুরোপুরি নির্মূল হয়নি এখনও। এই পরিস্থিতিতে করোনার সঙ্গে লড়াই করতে গেলে টিকাকরণ যে অত্যন্ত আবশ্যক, সেই কথা একাধিকবার বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।