কোন অজ্ঞাত কারণে থমকে নিয়োগ? ভোট মিটলেও নিয়োগ জটে প্যানেলভুক্ত প্রাইমারি শিক্ষক চাকরি প্রার্থীরা

হাজার চারেক চাকরি প্রার্থী নিয়োগপত্র পেয়েছেন। আর অজ্ঞাত কারণে সেই সৌভাগ্য হয়নি বাকি হাজার দশেকের। প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী উত্তীর্ণদের (Primary Teachers) কথা হচ্ছে।

কোন অজ্ঞাত কারণে থমকে নিয়োগ? ভোট মিটলেও নিয়োগ জটে প্যানেলভুক্ত প্রাইমারি শিক্ষক চাকরি প্রার্থীরা
চাকরিপ্রার্থীরা
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 8:48 AM

কলকাতা: হাজার চারেক চাকরি প্রার্থী নিয়োগপত্র পেয়েছেন। আর অজ্ঞাত কারণে সেই সৌভাগ্য হয়নি বাকি হাজার দশেকের। প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী উত্তীর্ণদের (Primary Teachers) কথা হচ্ছে। আর যাঁদের কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা সকলেই প্যানেলভুক্ত। চাকরি পাওয়া যোগ্য। কিন্তু ভোটের কারণে থমকে গিয়েছিল তাঁদের একাংশের নিয়োগপ্রক্রিয়া। তারপর থেকে আর চালু হয়নি। বিকাশ ভবন থেকে সংসদ দৌড়াদৌড়ি করেও লাভ হয়নি চাকরি প্রার্থীদের।

কারোর সম্বল টিউশন, কেউ বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে কোনওমতে সংসার চালান। লকডাউনে আবার সে সব বন্ধ। পরিবারের মুখে কী তুলে দেবেন? ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না সৌমেন প্রামাণিক, মদন দাস, মকবুল হোসেনরা। অথচ এমনটা হওয়ার কথা নয়। তারা প্রত্যেকেই প্রাইমারি টেট পরীক্ষা পাশ করেছেন। তবুও অজ্ঞাত কোনও কারণে থমকে গিয়েছে নিয়োগ।

এরকমই একজন নদিয়ার সৌমেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। টিউশন করেই হচ্ছে দিন গুজরান। লকডাউনে তাতেও ভাটা। এরকমই আরেকজন মদন দাস। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলের নাম উঠেছে শুনে ইস্তফা দেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে এখন অথৈ জলে।

ওঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা পাশ করেন। তারপর সরকার জানায়, যাঁদের টিচার্স ট্রেনিং নেই, তাঁদের তা সম্পন্ন করতে হবে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালে ১৫ হাজার ২৮৪ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ পায়। গত বছর ২৩ নভেম্বর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর আবেদনপত্র গ্রহণ হয়। চলতি বছরের ১০-১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইন্টারভিউ হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল মেরিট লিস্ট প্রকাশিত হয়। গোলমালটা শুরু হয় এর ঠিক পরেই।

আরও পড়ুন: আজ রাজভবনে বিজেপি বিধায়করা, বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা

বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক সংসদের চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ শুরু হয়। সাড়ে চার হাজার প্রার্থী চাকরির নিয়োগপত্র হাতেও পেয়ে যান। চাকরিতে যোগ দেন। মাঝে ভোট। জারি হয় আদর্শ আচরণবিধি। থমকে যায় হাজার দশেক চাকরি প্রার্থী নিয়োগ। ভোট মিটেছে, তবুও তাঁদের নিয়োগ নিয়ে উচ্চবাক্য করছে না সরকার।

বিড়ম্বনা আরও এক জায়গায়। ভোটে লড়েছে খোদ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ফলে তাঁর ইস্তফার পর শূন্য পর্ষদ সভাপতির পদও। তাতে কী করবেন, কার কাছে যাবেন? উত্তর হাতরাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।