Suvendu Adhikari: ‘টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর’, প্রাক্তন সেনাদের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে সরব শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অভিযোগ, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও সেনাকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "প্রত্যেক ঘটনাতে সেনাকে অপমান করা হয়েছে। অবন্তিপোরায় জঙ্গি হামলার পর যখন আমাদের বায়ুসেনা যখন ভিতরে ঢুকে মেরে এসেছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, প্রমাণ কোথায়?"

কলকাতা: সেনাকে অপমানের প্রতিবাদে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। সেই মঞ্চে পৌঁছে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেনাকে কেন অপমান? প্রশ্ন তুলে সরব শুভেন্দু। বললেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর।” শুভেন্দু বলেন, “সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে ডোরিনা ক্রসিং। আমাদের দেশের সেনাকে দেখে চিন পালায়, পাকিস্তান পা ধরে।”
শুভেন্দুর অভিযোগ, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও সেনাকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ঘটনাতে সেনাকে অপমান করা হয়েছে। অবন্তিপোরায় জঙ্গি হামলার পর যখন আমাদের বায়ুসেনা যখন ভিতরে ঢুকে মেরে এসেছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, প্রমাণ কোথায়?” শুভেন্দুর অতীতের একটি ঘটনা তুলে ধরে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একবার সারা রাত নবান্নে কাটিয়েছেন। কেন জানেন? আর্মি একটা সার্ভে করে। বড় বড় ব্রিজে কত গাড়ি যাতায়াত করে ইন্টারন্যাশানালি, সেটাকে কাউন্ট করার একটা সার্ভে হয় কয়েক বছর অন্তর অন্তর। এক বছর গাড়ি কাউন্ট করছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, আর্মি ঢুকে পড়েছে!” ঘটনার রেশ ধরেই শুভেন্দু বলতে থাকেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যেন আলাদা দেশ, যে সেনা ঢুকে পড়ল? কেন? তার প্রতিবাদে তিনি সেই রাতে নবান্নে ছিলেন।” শুভেন্দুর প্রশ্ন, “এই কোন ধরনের মানসিকতা? এটা দেশ বিরোধীদের মানসিকতা।” তখনই তিনি অভিযোগ করেন, ” টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর।”
ঘটনার সূত্রপাত, মেয়ো রোডে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ ঘিরে। বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের ওপর হেনস্থার অভিযোগ তুলে মেয়ো রোডে প্রতিবাদে বসেছিল তৃণমূল। কিন্তু গত মাসে শেষের দিকে, সেই মঞ্চ খুলে দেয় সেনা। সেনার বক্তব্য, প্রতিবাদ মঞ্চের জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুদিনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঞ্চের কাঠামো দিনের পর দিন বাঁধা ছিল। তাই সেনাকর্মীরা গিয়ে সেই মঞ্চের বাঁশ খুলে দেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী তথা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
তারপরই মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “আমাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়েছে। আমি বললাম আপনারা কেন পালাচ্ছেন। আপনারা বিজেপির কথায় এটা করেছেন। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের আগে জানাতে পারতেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় জোর রাজনৈতিক চর্চা। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মেয়ো রোডে প্রতিবাদে বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। অভিযোগ ওঠে, প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশ তাঁদের অনুমতি দিচ্ছে না। সে প্রসঙ্গেও এদিন শুভেন্দু বলেন, ” ওঁদের কেউ পঁচিশ বছর, কেউ কুড়ি বছর, জীবনের যে প্রাইম টাইম, তাঁরা দেশের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। এখনও দেশকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছেন। তাঁদের যে অপমান করা হয়েছে, তাঁরা প্রতিবাদ করতে এখানে বসতে চান। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকার অনেক শর্ত চাপিয়েছে, যাতে এখানে কোনওভাবেই করতে না পারেন।”
