TET Exam : টেটের ওএমআর শিট সুরক্ষিত, পরীক্ষার্থীদের বার্তা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি পর্ষদের
TET Exam : বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, পর্ষদের হাতেই এবারের টেট (TET Exam) পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র তথা ওএমআরশিট (OMR sheet) সুরিক্ষিত রয়েছে। পর্ষদের আরও দাবি, কোনওভাবেই প্রযুক্তিগত দিক থেকে টেটের ওএমআর শিটে কারচুপি করা সম্ভব নয়।
কলকাতা : টেটে দুর্নীতির (Corruption on TET Exam) অভিযোগে গতবছর থেকেই হইচই চলছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। ২০১৪ ও ২০১৭-র টেট নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে চাকরিও খুইয়েছেন অনেকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই দুর্নীতির তদন্তও করছে। মাঠে নেমেছে সিবিআই-ইডি (CBI-ED)। বিতর্কের আবহেই চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা (TET Exam) নেওয়া হয়েছে রাজ্যে। ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। দুর্নীতির আবহে শুরু থেকেই নিজেদের বেনিয়মের কলঙ্ক কাটাতে মরিয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার সময়েও কোনওরকম কারচুপি রুখতে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। এবার ফের পরীক্ষা নিয়ে আরও একবার স্বচ্ছতার বার্তা দেওয়া হল পর্ষদের তরফে। জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ২০২২ সালের টেটের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে তৃণমূলের ওই যুবনেতার বাড়িতে ওএমআর শিট গেল, তা খতিয়ে দেখতে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করল পর্ষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, পর্ষদের হাতেই এবারের টেট পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র তথা ওএমআরশিট সুরিক্ষিত রয়েছে। পর্ষদের আরও দাবি, কোনওভাবেই প্রযুক্তিগত দিক থেকে টেটের ওএমআর শিটে কারচুপি করা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, স্বচ্ছতার স্বার্থে এবারের পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশ হয়েছে ‘আনসার কি’। যার ফলে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের দেওয়া উত্তর মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন। ফলাফল ঘোষণার সময়েও পরীক্ষার্থীরা তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে আগেই রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। সেই অনুযায়ী বিকৃত ওএমআর শিটগুলি জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যার রেশ এখনও অব্যাহত বাংলার নাগরিক মহলে। ওএমআর প্রকাশ হওয়ায় সম্মানহানি হয়েছে, এই দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করছিলেন ১২ জন শিক্ষক। যদিও তাঁরা পাল্টা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে পর্ষদের এই বিজ্ঞপ্তি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।