TET মামলা: বোর্ড প্রেসিডেন্টের পকেট থেকেই মামলাকারীদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: অভিযোগ ওঠে, আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি বোর্ড। এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট আদালত অবমাননার দায়ে এই বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করেন।

TET মামলা: বোর্ড প্রেসিডেন্টের পকেট থেকেই মামলাকারীদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 4:33 PM

কলকাতা: টেট (TET) মামলায় আদালত অবমাননার দায়ে জরিমানা করা হল বোর্ড সভাপতিকে। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট মামলায় ছ’টি প্রশ্নে বিভ্রান্তি ছিল। সেই প্রশ্নগুলি কেউ যদি ‘অ্যাটেন্ড’ করে তা হলেই তাঁকে নম্বর দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।

অভিযোগ ওঠে, আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি বোর্ড। এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট আদালত অবমাননার দায়ে এই বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করেন। শুক্রবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিজের পকেট থেকেই জরিমানার টাকা দিতে হবে। প্রত্যেক মামলাকারীকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে।

গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেট-র ভিত্তিতে ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। এরপরই ১৯ জন চাকরি প্রার্থী এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান। তাঁদের আবেদন ছিল, ২০১৪ সালের প্রশ্নপত্রে ছ’টি ভুল প্রশ্ন করা হয়। তা সত্ত্বেও যাঁরা সেগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। আদালত ওই মামলার ভিত্তিতে নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা ওই ছয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তাঁদের যেন নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও তা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।

এরপরই এদিন কড়া হাতে বিষয়টি দেখে আদালত। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি তা বোর্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ কে মান্যতা না দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল বলে মনে করে আদালত। একই সঙ্গে এই ঘটনা মামলাকারীদের হেনস্তা করার সমান বলেও মনে করেন বিচারপতি। এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয় মামলাকারীদের হেনস্তা ও আদালত অবমাননার কারণে জরিমানা দিতে হবে। সেই জরিমানা দেবেন স্বয়ং বোর্ড সভাপতি। প্রত্যেক মামলাকারীদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই টাকা নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে তাঁকে।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৮ সালে রায় দিয়েছিল আদালত। সেই থেকে নিয়মিত মামলাকারীরা আদালতে আসছেন। রায় ফলপ্রসূ হচ্ছে না বলে। জোর করে কোনও না কোনও অজুহাত দেখিয়ে তাঁদের আটকে রাখা হচ্ছিল। এই নির্দেশ যা বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় দিয়েছেন সেটা ডিভিশন বেঞ্চে দু’বার টেস্টেড, সুপ্রিম কোর্টে টেস্টেড দু’বার। তা সত্ত্বেও বোর্ডের কোনও হেলদোল নেই। বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মানিক ভট্টাচার্য বসে আছেন। মাঝের এতটা সময় পরীক্ষার্থীরা বার বার আদালতে আসছেন। কিন্তু বোর্ড সভাপতির কোনও পদক্ষেপ করার আগ্রহই দেখা যায়নি। তাঁদের টেট পাশও করাননি,  কোনও ইন্টারভিউও নেননি, কিছুই করেননি। সে কারণেই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সাতদিনের মধ্যে টেট পাশ করাতে হবে, যদি তাঁরা ছয় নম্বর দিয়ে পাশ করেন। ইন্টারভিউ নিতে হবে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে প্রত্যেক পিটিশনারকে দিতে হবে। মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।” আরও পড়ুন: কেন ভোট করাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন? জবাব জানতে এবার মামলা দায়ের হাইকোর্টে