The Bengal Files: প্রয়োজনীয় তথ্যই নেই, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এ মিথ্যা চরিত্রায়ন নিয়ে গোপাল পাঁঠার নাতির মামলা খারিজ হাইকোর্টের
HC On The Bengal Files: যিনি বাংলার মানুষের কাছে গোপাল পাঁঠা নামে পরিচিত, তাঁর নাতি শান্তনু মুখোপাধ্যায় এই মামলা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী সিনেমার তাঁর দাদুর চরিত্রায়ন যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তাতে স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপাল মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছছে মানুষের কাছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

কলকাতা: প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে খারিজ বেঙ্গল ফাইলসের বিরুদ্ধে করা মামলা। গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাতির মামলা খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে মামলার সারবত্তা নেই। মামলাকারী RTI করে আবেদন করেছিলেন কিছু তথ্যের জন্য। সেই তথ্য আদৌ জানা সম্ভব হয়নি। এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় আইনজীবী সওয়াল করেন, মামলাকারী তাহলে কীভাবে মামলা করেন। তার কোনও উত্তর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গোপাল মুখোপাধ্যায়, যিনি বাংলার মানুষের কাছে গোপাল পাঁঠা নামে পরিচিত, তাঁর নাতি শান্তনু মুখোপাধ্যায় এই মামলা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁর দাদু একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। কিন্তু পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী সিনেমার তাঁর দাদুর চরিত্রায়ন যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তাতে গোপাল মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছছে মানুষের কাছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
মামলাকারীর প্রশ্ন, কীভাবে এমন একজন পরিচালক সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন-এর সদস্য থাকতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী শান্তনু মুখোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশনে শান্তনু মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ১২ অগস্ট ফিল্ম সেন্সর বোর্ডে এই নিয়ে আরটিআই করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার কোনও উত্তর পাননি। বউবাজার থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মুক্তির আগে থেকেই ‘বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে একাধিক বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ট্রেলর লঞ্চ থেকেই চলে টানাপোড়েন। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিলম সার্টিফিকেশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী জানান,” RTI করে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই সময় ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন রকম আপিল করেননি মামলাকারী। মামলার বিষয়বস্তু অনুযায়ী এটা অবমাননা মামলা হতে পারে।” অন্যদিকে মামলাকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি বিভিন্ন ফোরামে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হন। সোমবার আদালতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এ ধরনের আবেদন এই আদালতের আওতায় পড়ে না। তবে মামলাকারী চাইলে সংশ্লিষ্ট ফোরামে আবেদন জানাতে পারবেন। তথ্যের অধিকার আইনের ভিত্তিতে করা এই মামলাটি তিনি খারিজ করে দেন।
