Anubrata Mondal: ধর্মতলায় অনুব্রতকে আটকাল পুলিশ, কী করলেন বীরভূমের ‘বাঘ’?
Anubrata Mondal: এদিন মমতার সঙ্গে অনুব্রতর দেখা না হওয়া নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরও বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে অন্য কাউকে বসাননি মমতা। গতবছরের সেপ্টেম্বরে অনুব্রত জামিন পেয়ে জেলায় ফেরেন। এখন আর বীরভূমে জেলা সভাপতি পদে নেই তিনি।

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুব্রত মণ্ডলকে রবিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভাস্থলে মূল মঞ্চে যাওয়ার পথে আটকে দিল পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সেখান থেকে চলে গেলেন তৃণমূলের বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। অনুব্রতর চলে যাওয়ার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর সভাস্থলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এদিন ‘দিদি’-র সঙ্গে দেখা হল না কেষ্টর।
এদিন বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে ধর্মতলায় তৃণমূল শহিদ দিবসের মঞ্চের কাছে দেখা যায় অনুব্রতকে। পরনে নীল রঙের পাঞ্জাবি। মূল মঞ্চের কাছে গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা ছিল। সেখানে তৃণমূলের বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি পৌঁছন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সেখানে আটকান। বাধা পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন কেষ্ট। ওখানে দেখা যায় বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবকে। শাসকদলের দুই নেতা হাত মেলান। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। সেইসময় দেখা যায়, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল সমর্থকরা অনুব্রতকে দেখে হাত নাড়ছেন। পাল্টা তাঁদের দিকে হাত নাড়েন অনুব্রত। এর কিছুক্ষণ পর গার্ডরেলের পাশে চেয়ার পেতে বসতে দেখা যায় অনুব্রত ও অশোক দেব। কিছুক্ষণ পর অবশ্য উঠে চলে যান অনুব্রত। তৃণমূল সুপ্রিমোর মঞ্চে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি।

অনুব্রত মণ্ডল ও অশোক দেব
এদিন মমতার সঙ্গে অনুব্রতর দেখা না হওয়া নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরও বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে অন্য কাউকে বসাননি মমতা। কেষ্টকে বীরভূমের বাঘ বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। গতবছরের সেপ্টেম্বরে অনুব্রত জামিন পেয়ে জেলায় ফেরেন। কিন্তু, এখন আর বীরভূমে জেলা সভাপতি পদে নেই তিনি। এখন তিনি বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটির একজন সদস্য মাত্র। বীরভূমে জেলা সভাপতি পদে আর কাউকেই এখনও বসাননি মমতা।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন অনুব্রত মণ্ডল
কিছুদিন আগে আবার বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের একটি অডিয়ো সামনে এসেছে। ওই পুলিশ আধিকারিককে অনুব্রত গালিগালাজ দেন বলে অভিযোগ। দল রুষ্ট হতেই এই নিয়ে ক্ষমাও চান কেষ্ট। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ওই ঘটনাকে তৃণমূল সুপ্রিমো যে ভালভাবে নেননি, তা কার্যত স্পষ্ট। সেজন্যই, অনুব্রতকে এদিন মূল মঞ্চে যাওয়ার আগেই আটকে দেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টি অনুধাবন করেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চলে যান কেষ্ট। তাঁর চলে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর অবশ্য সভাস্থলে দেখা যায় মমতাকে। আগামিকাল শহিদ দিবসের সমাবেশে কেষ্টকে কোথায় দেখা যাবে, তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে।

