Kunal Ghosh: ‘পুরনো বলতে ৩-৪ জন নাকি?’, কুণালের খুল্লমখুল্লা ‘অ্যাটাক’
TMC: ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবস। এদিন জায়গায় জায়গায় নেতা কর্মীরা এই দিনটি পালন করছেন। তৃণমূল ভবনে এরকমই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সুব্রত বক্সি মন্তব্য করেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন। জোড়া ফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবেন।"
কলকাতা: সকাল থেকেই প্রবীণ-নবীন তরজায় ‘অ্যাটাকিং মোডে’ কুণাল ঘোষ। কখনও সুব্রত বক্সিকে খোঁচা, কখনও আবার প্রবীণ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে সরব। সোমবার এভাবেই দফায় দফায় দলের একাংশে নিশানা করতে দেখা গেল দলের অন্যতম মুখপাত্রকে। কুণালের বক্তব্য, মুখে বলা হবে পুরনোদের কথা, অথচ ৩-৪ জন সামনে থাকবেন সেটা হতে পারে না। সমস্ত পুরনোকেই সমান গুরুত্বের দাবি করেন তিনি।
১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবস। এদিন জায়গায় জায়গায় নেতা কর্মীরা এই দিনটি পালন করছেন। তৃণমূল ভবনে এরকমই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সুব্রত বক্সি মন্তব্য করেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন। জোড়া ফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবেন।” বক্সির এ হেন মন্তব্য ঘিরে চর্চা শুরু হয়। এই বক্তব্যের আড়ালে প্রবীণ-নবীনের টানাপোড়েন ফুটে উঠল কি না সে প্রশ্নও ওঠে।
এরইমধ্যে অন্য একটি অনুষ্ঠান থেকে কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা যায়, “মমতাদি যখন তৃণমূল কংগ্রেস করেছিলেন, রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন সুব্রত বক্সি। তেমনই সঞ্জয় বক্সিও কিন্তু তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রথম রাজ্য সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের সঙ্গী নন। পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, মমতাদি বলে রেখেছেন। আমরা মুখে বলব পুরনোদের, আর সঞ্জয় বক্সির মতো নেতারা পিছনের সারিতে চলে যাবেন? তাহলে পুরনো বলতে কারা? তাহলে কি পুরনো বলতে ৩-৪ জন শুধু? এভাবে হয় নাকি?”
একইসঙ্গে কুণালের খোঁচা, “মমতাদিকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বারবার কুৎসা করছেন। আমাদের কয়েকজন অ্যাটাক করছি। বাকি নেতারা যাঁরা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন, যাঁরা সকাল বিকাল মমতাদির সঙ্গে থাকেন, তাঁরা কি আঙুল চুষছেন? এরকম কয়েকজন সিনিয়র লিডার আজ শপথ নিন বিভিন্ন দিকে ভাল সেজে না থেকে আক্রমণাত্মক হবেন। আমি সরকারের সমস্ত সুবিধা নেব, একাধিক পদ নিয়ে বসে থাকব আর গোল গোল বক্তৃতা করব, হতে পারে না।”