Rajanya Haldar: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারে জোর সওয়াল, এখনই মুক্তি পাচ্ছে না রাজন্যার ‘তিলোত্তমাদের গল্প’
Rajanya Haldar: এ প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন, "আমি নিজে একজন আইনের ছাত্র। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে এটা বলছি এই ছবিতে এমন কিছু ছিল না যা তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে।"
সুমন মহাপাত্র
কলকাতা: ‘তিলোত্তমাদের’ ঘটনা নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি ছবি বানিয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী। আর ছবিটিতে অভিনয় করেছেন তৃণমূলের যুব নেত্রী রাজন্যা হালদার। তবে শর্ট ফিল্ম বানানোর পর থেকেই কার্যত দলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজন্যা ও প্রান্তিককে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এমনকী এই শর্ট ফিল্মের বিষয়টি উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও। এক দিকে যখন এই নিয়ে শুনানিতে আলোচনা চলছে, তার মধ্যেই দেখা গেল, স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই ছবিটির রিলিজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রান্তিক চক্রবর্তী।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে একটি ইমেল করেছেন প্রান্তিক। সেখানে জানিয়েছেন আগামী ২ তারিখ অর্থাৎ মহালয়ার দিন ‘আগমনী-তিলোত্তমাদের গল্প’ স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে যেহেতু এটি স্পর্শকাতর বিষয় এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সেই কারণে তাঁরা আলোচনা করে ঠিক করেছেন এখন এই ছবিটি মুক্তি পাবে না। প্রান্তিক লিখেছেন, “আমরা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছি।”
এ প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন, “আমি নিজে একজন আইনের ছাত্র। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে এটা বলছি এই ছবিতে এমন কিছু ছিল না যা তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে।” প্রসঙ্গত, ছবিটি বানানোর প্রথম দিন থেকেই প্রান্তিক বলেছিলেন, আগমনী শব্দটার সঙ্গে কোনও তদন্তের বিষয় যুক্ত ছিল না। আর তিলোত্তমা নামটা শহর কলকাতারও। তাই এই দুয়ের সঙ্গে একেবারেই বিচারের কোনও কিছুর সংযোগ নেই। পোস্টারের উপরেই লেখা আরজি কর ঘটনার পটভূমি। তার মানে আরজি কর ঘটনা নয়, আরজি কর কাণ্ডের সময়কালীন এই ঘটনা।
এ দিকে, আজ সুপ্রিম কোর্টে এ দিন আইনজীবী বলেন, “একটি ছবি প্রকাশ হওয়ার কথা ইউটিউবে। আমি বলছি না যে কেউ কিছু বলতে পারবে না। তবে স্পর্শকাতর বিষয়, মামলা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় কি ছবি প্রকাশ হওয়া উচিত?” এরপর প্রধান বিচারপতি পরামর্শ দেন প্রয়োজনে আইনি পথে এই ছবির মুক্তি আটকানো যেতে পারে। তবে আইনী জটিলতার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন প্রান্তিক-রাজন্যারা।