Adhir Chowdhury: সাসপেন্ড হতেই অধীরের পাশে তৃণমূল, বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশু-কল্যাণের
Adhir Chowdhury: এদিনই লোকসভায় বাদল অধিবেশন চলাকালীন অধীর চৌধুরীর নামে স্পিকারের কাছে এই অভিযোগ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। অবিলম্বে তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি করেন।
কলকাতা: লোকসভায় সাসপেন্ড হতেই অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) পাশে একাধিক তৃণমূল নেতাকে। পাশে দাঁড়িয়েছেন যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য থেকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের বড় মুখেরা। অভিযোগ, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই অধীর চৌধুরীর দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ বিরেন্দর মস্ত। পরে তার ভূমিকা নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন স্পিকার। বিজেপি সাংসদ ক্ষমাও চেয়ে নেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না সেই প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।
এদিন অধীরের পাশে দাঁড়িয়ে দেবাংশু লেখেন, ‘বিরোধী দলনেতাকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করার ঘটনা নিন্দনীয়। সরকারি পক্ষের মস্তিষ্ক বিভ্রাট ঘটেছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’ তবে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দেবাংশু। লেখেন, ‘সাসপেন্ড হওয়া ব্যক্তি আরও মন দিয়ে রাজ্য বিজেপির সঙ্গে গোপন ভালবাসা চালিয়ে যান! আর কেন্দ্রীয় স্তরে এভাবেই প্রতিদান পেতে থাকুন।’ অধীরের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় তাঁর বরাবরের তীব্র সমালোচক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তিনি স্পষ্ট বলেন, “অধীরকে সাসপেন্ড করে অন্যায় করেছে। অধীরের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিরোধ আছে। কিন্তু যা হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জার।”
নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে হাউসে ডিস্টার্ব করেন অধীর চৌধুরী। তথ্য ছাড়া এমন কিছু কথা বলেন যাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এদিনই লোকসভায় বাদল অধিবেশন চলাকালীন অধীর চৌধুরীর নামে স্পিকারের কাছে এই অভিযোগ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। অবিলম্বে তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি করেন। তাঁর প্রস্তাব মেনে নিন স্পিকার। অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড হয়ে যান অধীর।