AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোর সুড়ঙ্গে নতুন আশঙ্কা, বড় দুর্ভোগে পড়তে পারে সরোবর, কালীঘাট, চাঁদনি চক

Kolkata Metro: পরিকল্পনামাফিক কলকাতা মেট্রো থেকে রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৎপরতার অভাবে চিন্তায় মেট্রো আধিকারিকরা। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাগজপত্র তৈরি নেই বলে দাবি আধিকারিকদের।

Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোর সুড়ঙ্গে নতুন আশঙ্কা, বড় দুর্ভোগে পড়তে পারে সরোবর, কালীঘাট, চাঁদনি চক
ফাইল ছবিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2025 | 11:48 AM
Share

কলকাতা: মেট্রোর টানেলে দুর্ভোগের শেষ নেই। একদিকে পুরনো সুড়ঙ্গে নানা সমস্যা, যাত্রী পরিষেবাতেও প্রভাব পড়ছে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়ত যাত্রীদের ফুল ভুগতে হচ্ছে। তারই মধ্যে নয়া দুর্ভোগের আশঙ্কা কলকাতা মেট্রোয়। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মেয়াদ ফুরিয়ে যেতে বসেছে সুড়ঙ্গের বাতাস ঠাণ্ডা করা যন্ত্রগুলির।

বর্তমানে জল-নির্ভর ব্যবস্থায় সুড়ঙ্গের বাতাস ঠান্ডা করা হয়। বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের বাইরে বসানো রয়েছে সেই বিশেষ যন্ত্র। বিপুল পরিমাণে জল ব্যবহার করে সুড়ঙ্গের ভিতরের বাতাস ঠান্ডা রাখা হয়। পুরো সুড়ঙ্গ ঠান্ডা রাখতে ৪৬টি যন্ত্র বা কুলার ব্যবহার করা হয়। ৩০টি যন্ত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার মুখে। অথচ নতুন করে এই ব্যবস্থা বসানোর জন্য সময় প্রয়োজন।

পুরনো পদ্ধতি বদলে, নয়া পদ্ধতির মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভেতরের বাতাস শীতল রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। চার দশকের পুরনো ওই ব্যবস্থা বদল করে তার জায়গায় নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। মেট্রোর কর্তাদের একাংশের কথায়, ভূ-গর্ভস্থ ১৫টি স্টেশনের মধ্যে ৮টি স্টেশনের অবস্থা সবথেকে খারাপ।

রবীন্দ্র সরোবর, কালীঘাট, চাঁদনি চক স্টেশনে ওই যন্ত্রের মেয়াদ সবথেকে আগে ফুরিয়ে যাবে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। বাকি ভূগর্ভস্থ স্টেশন, অর্থাৎ নেতাজি ভবন, যতীন দাস পার্ক, ময়দান, মহাত্মা গান্ধী রোডেও পুরনো যন্ত্র (ওয়াটার কুলড চিলার) বদল করে নতুন যন্ত্র (এয়ার কুলড চিলার) পর্যায়ক্রমে বসানো হবে। যা সম্পূর্ণ করতে তিন থেকে চার বছর সময় প্রয়োজন বলে মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন।

পরিকল্পনামাফিক কলকাতা মেট্রো থেকে রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৎপরতার অভাবে চিন্তায় মেট্রো আধিকারিকরা। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাগজপত্র তৈরি নেই বলে দাবি আধিকারিকদের, বরাত দেওয়ার কাজে সক্রিয়তাও নেই। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত কলকাতা মেট্রো আধিকারিকদের একাংশই।

গোটা বিষয়টি পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ছাড়পত্র প্রয়োজন, তা এখনও নির্দিষ্ট জায়গা থেকে এসে মেট্রো ভবনে পৌঁছয়নি। তাই কাজ শুরুর প্রাথমিক জায়গাতেই হোঁচট খেয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।