Rabindra Bharati University: ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে আমাকে মারছেন কেন?’, বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য

Rabindra Bharati University: শুধু তাই নয়, উপাচার্য মনে করছেন রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধের জেরে রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে আমাকে মারছেন কেন?" বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মুখে এই কথায় জলঘোলা যে তৈরি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Rabindra Bharati University: 'রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে আমাকে মারছেন কেন?', বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য
উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2023 | 9:42 AM

কলকাতা: আচার্য তথা রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্য যেতেই পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে! একদল গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মীর দাপটে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তিনি। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর অফিসে ঢুকে করা হচ্ছে অভদ্র আচরণ। তাঁকে ‘আরএসএস-পন্থী’ বলে কটাক্ষ করে স্লোগান দেওয়া চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে! তাঁর বক্তব্য, এই অভ্যবতার জেরে ঘরে বসেই যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, উপাচার্য মনে করছেন রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধের জেরে রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে আমাকে মারছেন কেন?” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মুখে এই কথায় জলঘোলা যে তৈরি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এর আগের উপাচার্যও চার মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেননি। তিনি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন কি না সেই বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, “ওদের যা বলার রয়েছে আচার্যকে বলুক। উনি আমায় নিয়োগ করেছেন মানে আমার রাজনৈতিক রঙ রয়েছে এটাও তো ধরে নেওয়া ঠিক নয়। ছাত্র-অধ্যাপকরা সহযোগিতা করছেন। কিন্তু গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ-সি কর্মচারীরা হঠাৎ করে আমার ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন। হাততালি দিচ্ছেন। আমার নাম বিকৃতভাবে বলেছেন।”

আদৌ কি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন উপাচার্য? উত্তরে তিনি জানান, “আমি রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছি কয়েকটি কাজ করার জন্য। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ভবনকে গ্রিল দিয়ে ঘিরে দিতে বলেছি। আমার অফিস দোতলায় করতে বলেছি। এছাড়াও সিসিটিভি বসিয়ে গার্ড দিতে বলেছি।” গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে জানিয়েছেন শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। উপাচার্য বলেন, “এর আগের উপাচার্যও চার মাস আসতে পারেননি। এটা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাডিশন ।”

উল্লেখ্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। আচার্য সি ভি আনন্দ বোস সম্প্রতি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি ছিল, শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করছেন। এমনকী তাদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। আচার্যই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। এরপর তাঁকেই কাজে বাধা এবং হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে।