‘তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা বাজে সিদ্ধান্ত,’ পদ্মপতাকা নিয়ে উপলব্ধি মিঠুনের

বিজেপি (BJP) বাংলায় সরকার গড়বে এটা নিশ্চিত, তারাই একমাত্র দল যারা কিছু করার অন্তত চেষ্টা করছে, জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)

'তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা বাজে সিদ্ধান্ত,' পদ্মপতাকা নিয়ে উপলব্ধি মিঠুনের
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Mar 07, 2021 | 6:23 PM

কলকাতা: প্রথমে অতি বাম, তার পর তৃণমূলের সাংসদ, এখন যোগ দিলেন বিজেপিতে। ভোটমুখী বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে রবিবার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)’র বিজেপিতে যোগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এই দলবদলের মরসুমে দাঁড়িয়ে ‘মহাগুরু’ নিজে কী বলছেন। TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি জানালেন তাঁর বিজেপি যোগের কারণ।

মিঠুনের কথায়, “আমাকে কেউ বলেন চরমপন্থী। আমি একটা ব্যাপারেই চরমপন্থী। সেটা মানুষের ব্যাপারে।” একসময় প্রয়াত সিপিএম নেতা ও মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে তিনি ডাকতেন ‘জ্যোতি আঙ্কল’ বলে। সেই মিঠুন পরে মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদও করা হয়েছিল। এবার তিনি এলেন বিজেপিতে। যা নিয়ে মিঠুন নিজে বলছেন, “তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা ছিল আমার ‘ব্যাড ডিসিশন’ (ভুল সিদ্ধান্ত)। আমার আঠারো বছর বয়স থেকে একটাই স্বপ্ন, দরিদ্রদের পাশে থাকার, তাঁদের সাহায্য করার। তাই সিনেমাতেও আমাকে এইরকম চরিত্রে দেখেছেন। ২৫ বছর মজদুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম।”

রাজনীতিতে আসা নিয়ে মিঠুনের মন্তব্য, যেখানে মানুষ অসুবিধায় আছে শুনেছি, সেখানেই ছুটে গিয়েছি। কিন্তু নিজের কখনও প্রচার করিনি। তবে মানুষকে সাহায্য করতে গেলে একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই মুহূর্তে অন্তত একটা দল আছে। তা কারও ভালো লাগুক, কিংবা খারাপ, কিছু করার চেষ্টা করেছে। গরিবের পাশে আছে।” এরপর তিনি যোগ করেন, গরিবকে সাহায্য করতে চাইলে একটা দলের হাত ধরতে হবে। কেউ বলবে আমায় স্বার্থপর। কিন্তু এই স্বার্থপরতার পিছনে একটাই কারণ আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই।

আরও পড়ুন: ‘মিঠুন দা আসলে জলঢোড়া, তা না হলে মোদীর পায়ে গিয়ে মাথা ঠেকাতেন না’: মদন

বাংলায় বিজেপি সরকার তৈরি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা মিঠুন জানান, ”কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষরা গত কয়েক বছর প্রচুর খেটেছেন। বিজেপি বাংলায় সরকার গড়বে এটা নিশ্চিত। সোনার বাংলা তৈরি হলে গর্ব অনুভব করব আমি।”