Abhijit Sarkar: পুলিশ না পারলে এবার সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেবে নিহত অভিজিৎ সরকারের পরিবারকে, বলল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: বিশ্বজিতের অভিযোগ, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই জেলবন্দিদের পরিবারের লোকজনই সরকার বাড়িতে হামলা চালায়।

Abhijit Sarkar: পুলিশ না পারলে এবার সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেবে নিহত অভিজিৎ সরকারের পরিবারকে, বলল হাইকোর্ট
বিশ্বজিৎ সরকার ও অভিজিৎ সরকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 7:47 AM

কলকাতা: বিশ্বজিৎ সরকারের বাড়িতে হামলার ঘটনায় সরকার পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন বিশ্বজিৎ সরকার। এরপরই আদালতের তরফে পুলিশকে তলব করা হয়। নারকেলডাঙা থানার পুলিশ জানায় দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাল্টা আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, এই ঘটনার যাবতীয় ফুটেজ যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেহেতু বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের রহস্যমৃত্যুর মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই ওই ফুটেজ কলকাতা পুলিশ যেনো সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দেয়। একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরই রহস্যজনকভাবে মারা যান বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তাঁর মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। এবার সেই অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু মামলায় ১০ জন ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। তারা জেলবন্দি।

বিশ্বজিতের অভিযোগ, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই জেলবন্দিদের পরিবারের লোকজনই সরকার বাড়িতে হামলা চালায়। মা এবং তাঁকে জোর করে কাগজে সই করানোর চেষ্টারও অভিযোগ তোলেন বিশ্বজিৎ। তাঁর দাবি, ওই কাগজে মামলা প্রত্যাহারের কথা লেখা ছিল। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে অভিযোগ জানান বিশ্বজিৎ সরকার।

এরপরই বিচারপতি জানান, কলকাতা পুলিশ ও সিবিআই যেন সমান্তরালভাবে এই ঘটনার তদন্ত করে। কারণ, অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর পর বিশ্বজিতের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের একজন কর্মী ছিলেন। কিন্তু বডি ক্যামেরায় কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগটি আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

দু’পক্ষই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাক, চায় আদালত। পাশাপাশি নারকেলডাঙা থানাকে বিশ্বজিত ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হয়, তাহলে সরকার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য সিবিআই যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যবস্থা করে, বলে আদালত।

বিশ্বজিৎ সরকার সোমবার আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে বলেন, “২৫ তারিখ আমার ও আমার মায়ের উপর যে হামলা হয়েছিল এবং আমার ভাইয়ের খুনের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য যে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল তা জানাতে আদালতে এসেছিলাম। আদালত অর্ডার দিয়েছে ২৫ তারিখের ঘটনার তদন্ত সিবিআই ও নারকেলডাঙা থানার পুলিশ করবে। তদন্তের রিপোর্ট শিয়ালদহ কোর্টকে দেবে। আর এরপরও আমার নিরাপত্তা ব্যহত হলে সিআরপিএফকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আর নারকেলডাঙা থানার হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে না।”