অগস্ট কিংবা তার কিছুটা আশেপাশে! তৃতীয় ঢেউ রুখতে কি ফের কড়া বিধিনিষেধের পথে সরকার?
অগাস্টে চাড়া দিয়ে উঠবে তৃতীয় ঢেউ (West Bengal Corona Situation)। হয়তো সময়ের কিছুটা হেরফের হতে পারে। কিন্তু ভবিতব্য বদলাবে না। সব বিধিনিষেধ তুলে দিলে হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে না। আবার টানা লকডাউন (Lockdown) যদি হয়, তাহলে না খেয়ে মরতে হবে গরিব মানুষকে। এবারের প্রশ্ন সরকারের নীতি কী হবে?
কলকাতা: অগাস্টে চাড়া দিয়ে উঠবে তৃতীয় ঢেউ (West Bengal Corona Situation)। হয়তো সময়ের কিছুটা হেরফের হতে পারে। কিন্তু ভবিতব্য বদলাবে না। সব বিধিনিষেধ তুলে দিলে হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে না। আবার টানা লকডাউন (Lockdown) যদি হয়, তাহলে না খেয়ে মরতে হবে গরিব মানুষকে। এবারের প্রশ্ন সরকারের নীতি কী হবে?
তৃতীয় ঢেউ আসছেই, দ্বিধা নেই চিকিৎসক মহলে। প্রশ্ন হচ্ছে, কতটা ভয়াবহ হবে সেই ঢেউ? করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় চার গুণ বেশি সংক্রমক। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ কি আরও বেশি সংক্রমক হবে? ঢেউ আটকানো অসম্ভব, কিন্তু তার ক্ষতির পরিমাণ যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলাই লক্ষ্য।
ক্ষতি কীভাবে কমবে? চিকিৎসাবিজ্ঞান দিচ্ছে একটিই হিসাব। হার্ড ইমিউনিটি অর্থাৎ অধিকাংশ নাগরিকের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা। করোনা মুক্ত অথবা টিকা নেওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে ৭৫ শতাংশ। নাগরিকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠলে অতিমারি নিষ্ক্রিয় হয়। সেই হিসাবে ভারতের ১০০ কোটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। সংক্রমণ কাম্য নয়। টিকাকরণই হাতিয়ার। এখনও পর্যন্ত ২৫ কোটির বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের যা হার, তাতে অগাস্টের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষের টিকাকরণ অসম্ভব।
লকডাউন ছিল, তাই প্রথম ঢেউয়ে সংক্রমণ বেলাগাম হয়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ে পূর্ণ লকডাউন হয়নি, তাই সংক্রমণ অনেক বেশি। অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞার গিট যতই শক্ত, সংক্রমণ ততই কম। তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে কি আরও এক দফা বিধিনিষেধ জারি হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা আর সম্ভব নয়। কারণ করোনার মোকাবিলা করতে গিয়ে, অর্থনীতির দফারফা হয়ে গিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে লকডাউনের জেরে সঙ্কোচনে চলে যায় অর্থনীতি।
CMIE (সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি) রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে কর্মহীন হয়েছেন ১ কোটি মানুষ। ভারতের বেকারত্বের হার ফের এক ২ অঙ্কে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারতে মধ্যবিত্ত পরিবার পিছু আয় প্রায় ৪৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের খরচ বেড়েছে, সঞ্চয় কমেছে।
আরও পড়ুন: বিরল উপসর্গ নিয়ে জন্ম, কোভিড জয় ২৬ দিনের শিশুর! বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতালের সাফল্যে গর্বিত বাংলা
এর বাইরে রয়েছে অর্থনীতির একেবারে তলানিতে থাকা শ্রেণি। যাঁদের নির্দিষ্ট আয় নেই, সঞ্চয় নেই, সামাজিক সুরক্ষা নেই বললেও চলে। ৮০ কোটি গরিবকে দীপাবলি পর্যন্ত রেশন দেবে বলেছে মোদী সরকার। সরকারি হিসাবই বলছে, দেশের গরিবের সংখ্যা ৮০ কোটি। তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে আরও এক দফা কড়াকড়ির অর্থ গরিবের অর্থ হাঁড়িকাঠে গুঁজে দেওয়া। তলে তলে আরও বিপদ ঘটেছে।