Recruitment Scam: স্বচ্ছ নিয়োগ হলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে কেন? ব্রাত্যকে প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীর

Bratya Basu: এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, টেটের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু মামলা যেমন ন্যায়সঙ্গত। এমনও কিছু মামলা হচ্ছে, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।

Recruitment Scam: স্বচ্ছ নিয়োগ হলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে কেন? ব্রাত্যকে প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীর
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (বাঁদিকে)। ডানদিকে চাকরি প্রার্থী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2022 | 11:52 PM

কলকাতা: আন্দোলন করে চাকরি জুটবে না, চাকরির মাপকাঠি হবে যোগ্যতা। টিভি নাইন বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সোমবারই জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর এই বক্তব্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই ৬০০ দিন ধরে ধর্মতলায় বসে থাকা আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, “মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে বলব উনি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের কথা যে বলছেন, নিয়োগে স্বচ্ছতার কথা বলছেন, আমরাও তো তাই বলছি। উনি বলছেন, আন্দোলন করে চাকরি হবে না। আমরা তো ওনাকে এটাই বলতে চাই আমরা আন্দোলন করতে যাব কেন? ৬০০ দিন ধরে রাস্তায় কেন পড়ে থাকব? এত নির্যাতিত কেন হব আমরা? আমরাও তো মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ চাই। কিন্তু এতদিন তো তা হয়নি।”

এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিক্ষা দফতর বারবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসেছে। আমরা জটটা ছাড়াতে চাইছি। সেখানে রাজনৈতিক ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলন করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না, চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে। আন্দোলনের ভিত্তিতে তো চাকরি হয় না।”

এ নিয়ে ধর্মতলার ধরনা দেওয়া এসএলএসটি চাকরি প্রার্থী মতিউর রহমান প্রশ্ন তোলেন, “আজ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষার কর্তারা জেলে বসে আছেন। সেটা কি ওনারা স্বচ্ছ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করেছিলেন তার জন্য? নাকি অন্যায়ভাবে মেধা বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করেছিলেন তার জন্য?” তাঁদের কথায়, রাজপথে বসে থাকার কথা তাঁদের নয়। স্কুলে যাওয়ার কথা। মেধার পরিচয় দিয়ে মেধা তালিকায় নামও তুলেছেন বলে এদিন দাবি করেন এক চাকরি প্রার্থী।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আরও বলেন, এমন বহু মামলা হচ্ছে তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ করে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ত্রুটিপূর্ণ কাজ হলে তো মামলা হবেই। ত্রুটি করতে কে বলেছে। ওনারা তো ইচ্ছা করে ভুল করছেন যাতে মামলা হয়।”