Abhishek Banerjee: গোপন ব্যালটে পঞ্চায়েত প্রার্থী বাছাই, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ আনতে বড় ঘোষণা অভিষেকের
Abhishek Banerjee: আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি। ২ মাস জেলায় জেলায় ঘুরবেন অভিষেক। কলকাতায় ফিরবেন না। তবে অভিষেক জানান, যদি এর মধ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যায়, তাহলে সেখানেই কর্মসূচি শেষ করবে দল।
কলকাতা: তৃণমূলে (TMC) নবজোয়ার আনতে মরিয়া তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে প্রায় দেড় ঘণ্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। বলেন, আগামী ২ মাস জেলায় জেলায় জনসংযোগ যাত্রা করবেন তিনি। কলকাতায় ফিরবেন না। ঘুরবেন গ্রামে গ্রামে। জনসভা করবেন, কথা বলবেন মানুষের সঙ্গে। ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। অভিষেক বলেন, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে ২৫ তারিখ থেকে টানা ২ মাস এই কর্মসূচি চলবে। গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া হবে সাধারণ মানুষের। সেই সাধারণ মানুষই ঠিক করবেন, আগামী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে জোড়াফুল প্রতীকে প্রার্থী কে হবেন।
‘তৃণমূলে নবজোয়ার’কে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দু’টির আলাদা লোগো এদিন প্রকাশিত হল। ‘জনসংযোগ যাত্রা’ ও ‘গ্রামবাংলার মতামত’ তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির দু’টি অঙ্গ। অভিষেক জানান, বিধায়ক, ব্লক প্রেসিডেন্টরা বিভিন্ন সময় নিজেদের পছন্দের লোককে প্রার্থী করতে বলেন। ইতিমধ্যে জেলাস্তর ও ব্লকস্তর থেকে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করার জন্য প্রস্তাবিত তালিকাও এসেছে। তবে তৃণমূল এবার জনতার পছন্দকে অগ্রাধিকার দেবে। তার জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চাই মানুষ তাদের প্রতিনিধি ঠিক করুক। তাই এই কর্মসূচি। এই নবজোয়ার মানুষের জোয়ার। তারা নির্দ্বিধায়, নির্ভয়ে, নির্লোভে আগামী ৫ বছর কাজ করবে এমন মানুষকেই প্রার্থী করবে। স্বজনপোষণ নয় মানুষের হিতার্থে, মানুষের স্বার্থে কাজ করবে যারা।” ২৫ এপ্রিল থেকে টানা ২ মাসের বেশি সময় এই কর্মসূচি চলবে।
কোচবিহারের দিনহাটা থেকে কর্মসূচি শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ করবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বা কাকদ্বীপে। তিনি বলেন, “রোজ সকাল ১০টা ১১টা থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। দিনে ৪-৫টা জনসভা থাকবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলব। মতামত নেব। দিনে ৩-৪টে জনসভা করব। কখনও ৫টাও থাকতে পারে। এরপর ৬টায় ক্যাম্পে ফিরব।”
এরপর থাকবে জনসংযোগ বৈঠক। ওই ক্যাম্পেই সন্ধ্যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ সদস্য, বুথ সভাপতিকে ডাকা হবে। প্রত্যেক বুথ সভাপতিকে ডাকা হবে। পদাধিকারী নন, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষকেও ডাকা হবে। ৩ হাজার ৪ হাজার লোককে ডাকা হবে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর গোপন ব্যালটে তাঁদের ভোট নেওয়া হবে। তার নাম হচ্ছে গ্রাম বাংলার মতামত। ওপেন ব্যালট নয়। নাম, ফোন নম্বর থাকবে না কোথাও। শুধু থাকবে কোন পঞ্চায়েত, কাকে প্রার্থী হিসাবে চান। তারপর রাতে একটা ছোটখাটো খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। সংবাদমাধ্যম চাইলে কভার করতে পারে। লুকনোর কিছু নেই।”