Cough syrups: শিশুদের কাশি হলে কাফ সিরাপ কি আদৌ খাওয়ানো উচিত? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
Central advisory on rational use of cough syrups: জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়ার উপসর্গে কাবু শিশুরা। এক বছরের নীচে শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের প্রবণতা বেশি। অনেক অভিভাবকই কাশি, সর্দি হলে শিশুদের কাফ সিরাপ খাওয়ান। এই নিয়ে সতর্ক করে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। একই কথা বলছেন চিকিৎসকরা। সিরাপের ব্যবহার নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করে চিকিৎসকরা বলছেন, "২ বছর বয়সের নীচের শিশুকে কাফ সিরাপ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।"

কলকাতা: শিশুদের কাফ সিরাপ খাওয়ানো নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। কাফ সিরাপ নিয়ে সতর্কবার্তার মধ্যেই বাংলায় ভাইরাসের দাপটে কাবু শিশুরা। উৎসবের মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাসজনিত অসুখ। তালিকায় শীর্ষে রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (RSV)। সক্রিয় মেটানিমো, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, অ্যাডিনো ভাইরাসও। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে ভাইরাস আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বিসি রায়, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস-জুড়ে এক ছবি। বেসরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগেও সেই ছবিই দেখা যাচ্ছে। উদ্বেগে বাবা-মা ও পরিজনরা। এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন চিকিৎসকরা?
জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়ার উপসর্গে কাবু শিশুরা। এক বছরের নীচে শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের প্রবণতা বেশি। অনেক অভিভাবকই কাশি, সর্দি হলে শিশুদের কাফ সিরাপ খাওয়ান। এই নিয়ে সতর্ক করে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। একই কথা বলছেন চিকিৎসকরা। সিরাপের ব্যবহার নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করে চিকিৎসকরা বলছেন, “২ বছর বয়সের নীচের শিশুকে কাফ সিরাপ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।” ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে কাফ সিরাপ খাওয়ানো নিয়েও সতর্ক থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। শিশুদের পরিমাপ মতো জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শ্বাসকষ্ট প্রবল হলেই দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলছেন।
শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, “আমরা কাশির সিরাপ দিই না। এই নিয়ে নির্দেশিকা জারির প্রয়োজন পড়ে না। চিকিৎসকরা কাফ সিরাপ দেন না। কাশিকে এত সহজে চেপে দেওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য কাফ সিরাপ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কাশির ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। কোনওটা হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। কোনটা ব্রেনের উপর প্রভাব ফেলে। কোনও বয়সেই কাফ সিরাপের দরকার নেই। তবে হাঁফানির কাশি থাকলে, তাঁকে হাঁফানির ওষুধটা দেবেন। সুতরাং কাশির ওষুধের কোনও প্রয়োজন নেই। ফলে বাজার থেকে কাশির ওষুধ তুলে নেওয়ার নির্দেশিকা দিলে আমি বেশি খুশি হতাম।” তিনি বলেন, “কাফ সিরাপ কাশি কমায়, এটা একটা মিথ।”
আরএসভি ভাইরাস নিয়ে শিশুরোগ চিকিৎসক অনিন্দ্য কুণ্ডু বলেন, “RSV নতুন ভাইরাস নয়। RSV আক্রান্ত হলেই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ দেওয়ার দরকার নেই। RSV হলেই ভয়ের কোনও কারণ নেই। যাদের ভর্তি করার দরকার, তাদেরই আরএসভি পরীক্ষা করা দরকার। মরশুম বদলের সময়ই এই ভাইরাসের প্রভাব দেখা যায়। আরএসভি সংক্রামক ওষুধ। তবে আরএসভি আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে ভয়ের কোনও কারণ নেই।” ২ বছরের নীচে শিশুদের আদৌ কাফ সিরাপ দেওয়ার দরকার নেই বলে তিনিও মন্তব্য করেন। তবে তিনি বলেন, ২ বছরের বেশি বয়সীর ক্ষেত্রে কাফ সিরাপ একমাত্র চিকিৎসক বললেই ব্যবহার করা উচিত।
