কলকাতা: কয়েকঘণ্টার ব্যবধান। ভোটার তালিকায় ‘ভূত’ ধরতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় জেলায় কোর কমিটি গঠন। আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের সেই কোর কমিটিতে স্থগিতাদেশ। প্রশ্ন উঠছে, জেলায় জেলায় কোর কমিটি গঠন করেও কেন স্থগিতাদেশ জারি করা হল? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুতর আপত্তিতেই কি জেলা জেলায় কোর কমিটিতে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে? তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের পর এই আলোচনাই জোরদার হচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলনে রাজ্যে ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোটার তালিকায় ‘ভূত’ ধরতে কমিটি গড়ে দেন মমতা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তৃণমূল ভবনে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠকে ছিলেন না অভিষেক। সেই বৈঠকেই ভোটার তালিকায় ‘ভূত’ ধরতে জেলায় জেলায় কোর কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু, রাতেই জেলাগুলির কোর কমিটিতে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। প্রশ্ন উঠছে, কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে জেলাগুলিতে কোর কমিটিতে কেন স্থগিতাদেশ জারির সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? প্রশ্ন উঠছে, অভিষেকের হাতেই কি ফিরছে দলের সংগঠনের রাশ? আবার কি দলে দীর্ঘ হচ্ছে আইপ্যাকের ছায়া?
তৃণমূল সূত্রে খবর, মাস তিনেক আগে দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠকে আইপ্যাক নিয়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। কিন্তু, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে তিনি আইপ্যাকের প্রশংসা করেন। আইপ্যাক নিয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য না করার বার্তা দেন। মমতার সেদিনের বার্তার পর প্রশ্ন উঠছে, আইপ্যাকের ছায়া আবার কি দীর্ঘ হচ্ছে রাজ্যের শাসকদলে?
আগামী ১৫ মার্চ দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। প্রশ্ন উঠছে, ওই বৈঠক থেকেই কি জেলায় জেলায় নতুন কোর কমিটি তৈরি হবে? সেইজন্যই কি কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে স্থগিত করে দেওয়া হল কোর কমিটি? অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, শাসকদলের সুপ্রিমোর এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে কি মুখ পুড়ল না দলের ওল্ড ব্রিগেডের?