Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডেই কার্যালয় খুলছেন শুভেন্দু, পাখির চোখ ভবানীপুর?
Suvendu Adhikari: কিছুদিন আগে শুভেন্দু মন্তব্য করেছিলেন, নন্দীগ্রামের থেকে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরে বিজেপির বক্তব্য, ভবানীপুরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ৭৩ নম্বরের ওয়ার্ডের ভোটার। লোকসভা ভোটের নিরিখে এই ওয়ার্ডে বিজেপি পিছিয়ে মাত্র ২৭৯ ভোটে পিছিয়ে।

কলকাতা: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি ভবানীপুরে ঘাঁটি গাড়ছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। আগামী ১ মে এই কার্যালয় উদ্বোধন করতে চান তিনি। গতকাল ভবানীপুরের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই নিয়ে তিনি আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ১০০ জনের বেশি কর্মী নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। যাঁরা মূলত ওই এলাকার তথ্য সংগ্রহ করবেন। তবে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজয়ের পর ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জেতেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এগারো সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ভবানীপুর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ান মমতা। একুশের নির্বাচনের কয়েকমাস বাদ দিলে ভবানীপুরের বিধায়ক মমতা-ই। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই বিধানসভা কেন্দ্রেই বাড়তি নজর দিয়েছেন শুভেন্দু।
কিছুদিন আগে শুভেন্দু মন্তব্য করেছিলেন, নন্দীগ্রামের থেকে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরে বিজেপির বক্তব্য, ভবানীপুরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর তৃণমূল এগিয়ে ছিল ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী ৭৩ নম্বরের ওয়ার্ডের ভোটার। লোকসভা ভোটের নিরিখে এই ওয়ার্ডে বিজেপি পিছিয়ে মাত্র ২৭৯ ভোটে পিছিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলতে চান শুভেন্দু।
এই খবরটিও পড়ুন




জানা গিয়েছে, গতকালের বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে নজর না দিলেও চলবে। ওই ওয়ার্ডটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। বিজেপির একাংশ বলছে, ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিয়ে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঠিকঠাক লড়াই করলে ভবানীপুরে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল তিনটি ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকলেও ভবানীপুর থেকে ৮ হাজার ২৭১ ভোটের লিড পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। শুধু ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডেই তৃণমূল বিজেপির চেয়ে ১২ হাজার ৩২৫ ভোট বেশি পেয়েছিল।
ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে ভবানীপুরকে তিনি যে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন, গত কিছুদিনে ভবানীপুরে একাধিক কর্মসূচিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। ভবানীপুরের থিয়েটার রোড এলাকায় নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত শুনেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডেই কার্যালয় খোলার কথা জানিয়ে নিজের বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। ভবানীপুরে বিজেপিকে ঠেকাতে এখন তৃণমূল কী পদক্ষেপ করে, সেটাই দেখার।





