AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalyan on Anubrata: ‘গ্রেফতার করলেও জামিন পেয়ে যাবেন অনুব্রত’, কেন বোঝালেন কল্যাণ

Kalyan on Anubrata: কল্যাণের দাবি, অনুব্রতর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তাতে তাঁকে গ্রেফতার করলেও মুহূর্তেই জামিন পেয়ে যেতে পারেন। তাঁর সাফ কথা, আবেগ এক জিনিস, কিন্তু আবেগের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তো আইন চলে না।

Kalyan on Anubrata: 'গ্রেফতার করলেও জামিন পেয়ে যাবেন অনুব্রত', কেন বোঝালেন কল্যাণ
কেন এ কথা বলছেন কল্যাণ? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 31, 2025 | 8:05 PM
Share

কলকাতা: দল বলেছিল চার ঘণ্টার মধ্য়ে ক্ষমা চাইতে। চেয়েছেন। তবে সময় যত যাচ্ছে ততই অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির দাবি ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বীরভূমের ৪ থানায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এরইমধ্যেই অনুব্রতর আচরণের নিন্দা করেও গ্রেফতারির প্রশ্নে সুর নরম কল্যাণের। তাঁর সাফ কথা, অনুব্রত অন্যায় কাজ করেছে। দল তাঁর কথা যে সমর্থন করে না তা দল স্পষ্ট করেছে। 

এদিন টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বলেন, “দল থেকে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তারপর ক্ষমা চেয়েছে। দল এই কাজকে সমর্থন করে না। এরপর আমার কী বলার আছে। দল তো কঠোর পদক্ষেপ করেছে। এরপর ক্রিমিনাল কেসে যা হবে সেটা হবে।” কল্যাণের দাবি, অনুব্রতর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তাতে তাঁকে গ্রেফতার করলেও মুহূর্তেই জামিন পেয়ে যেতে পারেন। তাঁর সাফ কথা, মনুষের আবেগ এক জিনিস, কিন্তু আবেগের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তো আইন চলে না। 

প্রসঙ্গত, বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির মহিলাদের নিয়েও কুকথা বলার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি অডিয়ো ক্লিপ পোস্ট করেন। তাতেই শোরগোল পড়ে যায়। এরইমধ্যে অনুব্রতকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেয় তৃণমূল। থানায় হাজিরা দিতে বলে পুলিশ।  

কল্যাণ যদিও বলছেন, “ও যে গালাগালি দিয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে ভাল নয়। কিন্তু গালাগালি দিলেই কী কগনিজেবল অফেন্স হয় নাকি নন-কগনিজেবল অফেন্স হয়? যে কেসে পুলিশ অ্য়ারেস্ট করতে পারে না, সঙ্গে সঙ্গে বেল দিতে হয় তাতে কী করে গ্রেফতার করবে? বার্তা দেওয়ার জন্য তো আর হয় না। আমার ইমোশন স্যাটিসফাই করার জন্য তো আইন নয়। আইন আইনের পথে চলবে।” প্রসঙ্গত,  কগনিজেবল অফেন্স মূলত সেই ধরনের গুরুতর অপরাধগুলিকে ধরা হয় যাতে কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়। অন্যদিকে কল্যাণের মন্তব্যে সমর্থন করছেন বাম নেতা তথা বরিষ্ঠ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ কথা, কল্যাণ তো ঠিক বলছে। আইনগত দিক থেকে ঠিক কথা বলেছেন। একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “এই সব ভাষা শুনতে অভ্যস্ত পুলিশ অফিসাররা। তারপরেও ওরা অনুব্রতকে সেলাম দিয়ে চলেন।”