Save Nimisha Priya : ইয়েমেনে খুনে মৃত্যুদণ্ড কেরালার মহিলার, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ নিমিশার পরিবার

Save Nimisha Priya : দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক ভারতীয় নার্সের পরিবার। ২০১৭ সালে ইয়েমেনের এক স্থানীয়কে খুনের অভিযোগে ইয়েমেনের আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয় ভারতীয় মহিলা নিমিশা প্রিয়াকে। এইবার সেই মৃত্যুদণ্ডের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

Save Nimisha Priya : ইয়েমেনে খুনে মৃত্যুদণ্ড কেরালার মহিলার, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ নিমিশার পরিবার
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2022 | 11:28 PM

নয়া দিল্লি : দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক ভারতীয় নার্সের পরিবার। ২০১৭ সালে ইয়েমেনের এক স্থানীয়কে খুনের অভিযোগে ইয়েমেনের আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয় ভারতীয় মহিলা নিমিশা প্রিয়াকে। এইবার সেই মৃত্যুদণ্ডের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এই মামলায় কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এর আগে ৭ মার্চ ইয়েমেনের একটি আপিল কোর্টে আবেদন করেছিলেন নিমিশা প্রিয়া। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়। ‘সেভ নিমিশা প্রিয়া ইন্ট্যারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিলের’ নিমিশার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে এই আবেদন করেছে।

এই আবেদনে জানানো হয়েছে, ইয়েমেন নাগরিক তালাল আবদো মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট লুকিয়ে রেখেছিল যাতে তিনি কোনওভাবে ভারতে ফিরতে না পারেন। সেই ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে নিমিশার উপর নির্যাতন করত। এর উপর সেই ব্যক্তি ইয়েমেনের আধিকারিকদের কাছে নিজেকে নিমিশার স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এর ফলে ইয়েমেনের কারোর সাহায্য পাননি নিমিশা। তারপরই সেই ব্যক্তিকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগ ওঠে নিমিশার বিরুদ্ধে।

আইনজীবী সুভাষ চন্দ্রন কেআরের দায়ের করা আবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ইয়েমেনের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ইয়েমেনে ভ্রমণের অনুমতি নেই। ফলে তাঁকে ছাড়িয়ে আনার জন্য তাঁর পরিবার বা শুভাকাঙ্ক্ষীদের ইয়েমেন সফর এবং নিরাপদে রক্তের অর্থ প্রদানের কোনও উপায় নেই। আবেদনকারী হাই কোর্টকের কাছে আর্জি জানান যাতে আদালত কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় যাতে তারা ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করে এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে নিমিশা প্রিয়ার হয়ে আলোচনা করে এবং নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা করে এবং সে দেশের আইন অনুয়াযী ব্লাড মানি দিয়ে বিষয়টি রফাদফা করা হয়।’ যদি সরকার একটি আপিল সুরক্ষিত করতে সক্ষম না হয়, তবে আবেদনটি মৃতের পরিবারকে “ব্লাড মানি” প্রদানের জন্য ইয়েমেনে “অর্থ সংগ্রহ এবং প্রেরণ” করার অনুমতি চেয়েছে, যাতে নিমিশা ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড এড়াতে পারে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা ইয়েমেনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সীমাবদ্ধ। এই আবেদনে পরিবারটি আরও জানিয়েছে যে তাঁরা সরকারের কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাননি তাঁরা।

কেরালার নিমিশা পেশায় একজন নার্স। তিনি ইয়েমেনে কাজ করতেন। সেইসময় ২০১৬ সালে গৃহযুদ্ধের কারণে ইয়েমেনে যাওয়া এবং ইয়েমেন থেকে ফেরা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী এবং মেয়ে ভারতে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর চাকরির কারণে তিনি তখন ফিরতে পারেননি। ২০১৭ সালের জুলাইতে একজন ইয়েমেনের নাগরিককে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নিমিশা অভিযোগ করেছিলেন, ইয়েমেন নাগরিক তালাল আবদো মাহদি তাঁর উপর অত্যাচার চালাতেন। নিমিশার পাসপোর্টও তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন কেরালার নার্স। তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী, তিনি সেই ব্যক্তিকে ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলেন যাতে তিনি নিজের পাসপোর্টের খোঁজ করতে পারেন এবং ভারতে ফিরে আসতে পারেন। কিন্তু ঘুমের ওষুধের পরিমাণ কোনওভাবে ভুল হয়ে যাওয়ায় মারা যান সেই ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে যে, এরপর নিমিশা তালালের দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ভরে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : CRPF Jawan Killed : বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন, আচমকাই সন্ত্রাসবাদীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে প্রাণ হারালেন জওয়ান