Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra: বহু মহিলাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছি, কখনও বলিনি ডোন্ট টাচ মাই বডি : মদন মিত্র

Madan Mitra: “আমি বহু মহিলার ফোন নম্বর দিতে পারি যাঁরা বলবে কখনও মদন মিত্রের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে বলেনি ডোন্ট টাচ মাই বডি।” টিভি-৯ বাংলায় এসে বললেন মদন মিত্র।

Madan Mitra: বহু মহিলাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছি, কখনও বলিনি ডোন্ট টাচ মাই বডি : মদন মিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 9:22 PM

কলকাতা: ‘ওহ লাভলি’, তাঁর এই দুই শব্দ আজও প্রায়শই ঝড় তোলে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) ময়দানে। রাজনৈতিক আক্রমণের মাঝেও তাঁর মুখে প্রায়শই দেখা যায় প্রবাদের ঘনঘটা। এক কথায় তাঁর নিত্যনতুন রঙিন রোদ চশমা থেকে রঙিন পোশক সবকিছু নিয়ে চর্চা চলে নাগরিক মহলে। রাজনীতির গণ্ডির বাইরেও রয়েছে সীমাহীন জনপ্রিয়তা। কথা হচ্ছে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে (Trinamool Leader Madan Mitra) নিয়ে। কিন্তু তাঁর এই ‘রঙিন জীবনের’ রহস্য কী? “রংচংয়ে থাকাটা মনের উপর নির্ভর করে। মনে যদি রঙ থাকে তাহলে যে কোনও পোশাকই রংচংয়ে লাগবে।” ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি-৯ বাংলার (TV-9 Bangla) ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাটার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ভাবেই মনের কথা খুলে বললেন তিনি। চোখে তাঁর হলুদ রোদ চশমা, পরনে কালো পাঞ্জাবি, গলায় হলুদ উত্তরীয়।  

প্রসঙ্গত, ইডির হাতে গ্রেফতারির সময় থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নারী সঙ্গ নিয়ে বিস্তর চর্চা চলে নাগরিক মহলে। বন্ধু পার্থ কী তবে বান্ধবীর সংখ্যায় ছাপিয়ে গিয়েছেন মদনকে? প্রশ্ন করতেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হাসিমুখে মদনের উত্তর, “আমার এরকম মানসিকতা নেই। আমার বান্ধবী নেই মহিলাদের সঙ্গে আমার পরিচিতি আছে। প্রচুর মহিলাদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে বিয়ে বাড়ি যাই, দেখা হয় পার্টিতে। আমার সঙ্গে তারা খুব খোলামেলাভাবে মেলামেশা করে। কিন্তু যে অর্থে পার্থর বান্ধবীর ব্যাপারটা ব্যবহৃত হয়েছে, যে টাকা রাখা, প্রমিয়াম দেওয়ার কথা উঠেছে এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

এখানেই না থেমে মদন আরও বলেন, “আমি বহু মহিলার ফোন নম্বর দিতে পারি যাঁরা বলবে কখনও মদন মিত্রের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে বলেনি ডোন্ট টাচ মাই বডি। আমরা জড়িয়ে ধরে বন্ধুর মতো ছবি তুলেছি। একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুললে সেটা অশ্লীল নয়। একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলি সেটা কেন অশ্লীল হবে? অশ্লীলতা আমার মনের ব্যাপার। আগে দেখতে হবে এ সময় আমি কোনও সুযোগ নিচ্ছি কিনা। কোনও মহিলা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন কিনা।” এদিকে গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে দল। পার্থ ইস্যুতে বিশেষ শব্দ খরচ করতে দেখা যায়নি তৃণমূূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে পার্থর গ্রেফতারিতে এদিন প্রকাশ্যেই দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেল কামারহাটির বিধায়ককে। এমনকী তাঁর গ্রেফতারি দলেরও যে অস্বস্তি বেড়েছে তাও স্বীকার করে নেন তিনি। বলেন, “পার্থর জেলে যাওয়ার কথা ভাবিনি। খুবই দুঃখের। পার্থর ব্যাপারে মানুষ অবাক হয়ে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে পার্টিও একটা অস্বস্তিতে পড়েছে।”