‘এটা কি ফ্যাশন প্যারেড চলছে?’, রেগে কাঁই প্রধান বিচারপতি, কী ঘটল এজলাসে?
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে চলছিল একটি মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই শুনানি চলছিল। এক আইনজীবী তড়িঘড়ি এজলাসে আসেন এবং শুনানিতে যোগ দেন। কিন্তু তাঁকে দেখেই রেগে যান প্রধান বিচারপতি।
নয়া দিল্লি: শীর্ষ আদালতে শুনানি চলছে। আইনজীবী এজলাসে ঢুকতেই তাঁকে দেখে রেগে গেলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় । কী হল সুপ্রিম কোর্টের এজলাসের ভিতরে? কেনই বা এমন মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি?
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্টে চলছিল একটি মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই শুনানি চলছিল। এক আইনজীবী তড়িঘড়ি এজলাসে আসেন এবং শুনানিতে যোগ দেন। কিন্তু তাঁকে দেখেই রেগে যান প্রধান বিচারপতি। আইনজীবীর গলায় নেক ব্যান্ড দেখতে না পেয়েই তিনি প্রশ্ন করেন, “আপনার ব্যান্ড কোথায়? এখানে কি ফ্যাশন প্যারেড হচ্ছে?”
প্রধান বিচারপতির ধমক খেয়ে থতমত হয়ে যান আইনজীবী। তিনি জানান যে তাড়াহুড়োয় আদালতে এসেছেন, তাই নেক ব্যান্ড পরতে ভুলে গিয়েছেন। কঠোর কণ্ঠে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জবাবে বলেন, “সরি, আপনি যদি সঠিক ইউনিফর্ম পরে না আসেন, তবে আমি (মামলা) শুনতে পারব না।”
পুরুষ ও মহিলা আইনজীবীদের ড্রেস কোড-
বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বিধির চতুর্থ অধ্যায় আইনজীবীদের ড্রেস কোড উল্লেখ করা রয়েছে। এটি হল কালো বোতামযুক্ত কোট, চাপকান, আচকান, কালো কোট এবং সাদা ব্যান্ডের সঙ্গে উকিলদের গাউন। এছাড়া কালো কোট, সাদা শার্ট, অ্যাডভোকেটস গাউনের সঙ্গে সাদা ব্যান্ডও পরা যেতে পারে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অবস্থাতেই আইনজীবীরা জিন্স পরে আদালতে আসতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জেলা আদালত, দায়রা আদালত বা সিটি সিভিল কোর্ট ছাড়া অন্য আদালতে ব্যান্ডের পরিবর্তে কালো টাই পরা যেতে পারে।
মহিলা আইনজীবীদের জন্য কালো ফুল হাতা জ্যাকেট বা ব্লাউজ, সাদা কলার, সাদা ব্যান্ড সহ অ্যাডভোকেট গাউন পরার নিয়ম রয়েছে। মহিলা আইনজীবীরা শাড়ি বা লম্বা স্কার্ট (সাদা বা কালো বা যেকোনো প্রিন্ট বা ডিজাইন ছাড়া হালকা বা হালকা রঙের) বা চুড়িদার, সালোয়ার-কুর্তা বা কালো কোট এবং ব্যান্ড পরতে পারেন।
আইনজীবীরা কেন নেকব্যান্ড পরেন?
সাদা গলার ব্যান্ড আইনজীবীদের পোশাকের একটি অপরিহার্য অংশ। পুরুষ ও মহিলা উভয় আইনজীবীরই গলায় ব্যান্ড পরা বাধ্যতামূলক। ‘বিচারের দাঁড়িপাল্লা’ যেমন আদালতের প্রতীক, তেমনি এই গলায় বন্ধনী আইনজীবীর পরিচয়। সাদা গলার বন্ধনী আসলে নির্দোষ ও সততার প্রতীক।