Wooden Cooking Utensils: স্টিল নয়, কাঠেই ভরসা রাখুন, নিরাপদ রান্নার সঙ্গী এই হাতা ও খুন্তি
আধুনিক স্টিল বা সিলিকন স্প্যাচুলার ভিড়ে কাঠের চামচ, হাতা, খুন্তি যেন একটু সাদামাটা মনে হয়। কিন্তু এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন। শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, দুটো দিক থেকেই কাঠের হাতা এবং খুন্তি বেশ ‘স্মার্ট’ পছন্দ।

ঠাকুমার রান্নাঘরে যে বড় বড় কাঠের হাতা-খুন্তি ঝুলে থাকতে অনেকে দেখেছেন, আজও তা কারও কারও বাড়িতে ব্যবহার হয়। আধুনিক স্টিল বা সিলিকন স্প্যাচুলার ভিড়ে কাঠের চামচ, হাতা, খুন্তি যেন একটু সাদামাটা মনে হয়। কিন্তু এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন। শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, দুটো দিক থেকেই কাঠের হাতা এবং খুন্তি বেশ ‘স্মার্ট’ পছন্দ। নিম্নে এগুলো ব্যবহারের নানা উপকারিতা তুলে ধরা হল।
১. রাসায়নিকমুক্ত ও নিরাপদ
কাঠে কোনও ক্ষতিকর পদার্থ নেই। গরমে প্লাস্টিকের মতো রাসায়নিক গলে খাবারে মেশে না, তাই কাঠের হাতা ও খুন্তি দুটোই সম্পূর্ণ নিরাপদ।
২. তাপে বিকৃত হয় না, গন্ধ ছাড়ে না
স্টিল বা সিলিকনের মতো গরমে বাঁকা বা নরম হয় না কাঠ। খুন্তি দিয়ে ভাজা বা কষা খাবারে গন্ধও ওঠে না।
৩. নন-স্টিক পাত্রে আদর্শ
কাঠের হাতা ও খুন্তি পাত্রে আঁচড় ফেলে না, তাই নন-স্টিক কড়াইয়ের কোটিং থাকে অনেকদিন টিকে থাকে।
৪. হাত পুড়ে যাওয়ার ভয় নেই
কাঠ তাপ পরিবাহী নয়। ফলে রান্নার সময় হাত গরম হয়ে যায় না। এটি নিরাপদ এবং খুব সহজেই ব্যবহারযোগ্য।
৫. প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ
ভালভাবে শুকিয়ে রাখলে কাঠের সরঞ্জামে জীবাণু সহজে বাঁচে না। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি আটকায়।
৬. যত্নে রাখলে টিকে বছরের পর বছর
ব্যবহার করার শেষে ধোওয়ার পর ভালভাবে শুকিয়ে নিন। তা হলে অনেক দিন এগুলোর মান ভাল থাকে। পরিষ্কার করার জন্য এগুলো ডিশওয়াশারে দেবেন না। যত্ন নিতে চাইলে মাঝে মাঝে কাঠের জিনিসে সামান্য নারকেল তেল ঘষে রাখতে পারেন।
মাথায় রাখা ভাল যে, ফাটা বা পুরনো কাঠের হাতা-খুন্তি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ তাতে ব্যাকটেরিয়া জমে। ভিজে জায়গায় রাখলে তা থেকে দুর্গন্ধ হতে পারে।
রান্নার স্বাদ শুধু মশলায় নয়, উপকরণেরও ভূমিকা আছে। কাঠের হাতা ও খুন্তি রান্নাকে করে তোলে নিরাপদ, প্রাকৃতিক আর খানিকটা নস্টালজিকও। তাই প্লাস্টিক নয়, আবার ফিরুন ঐতিহ্যে। আর মন থেকে বলে উঠুন, কাঠের ছোঁয়ায় হয় খাঁটি রান্না, মেলে খাঁটি স্বাস্থ্য।
