AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Karan Kundra Weight Loss Journey: ঘি খেয়েও এক মাসে ১২ কেজি ওজন কমিয়েছেন করণ কুন্দ্রা! কীভাবে, ফাঁস করলেন রহস্য

Fat Loss Hacks: সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করণ জানিয়েছেন মাত্র এক মাসের মধ্যে কীভাবে ১২ কেজি ওজন কমান তিনি। করণ জানান, এর জন্য তিনি কোনও স্ট্রিক্ট ফ্যাড ডায়েট বা শর্টকাটের আশ্রয় নেননি। বরং সাধারণ নিয়ম মেনেই ওজন ঝরিয়েছেন তিনি।

Karan Kundra Weight Loss Journey: ঘি খেয়েও এক মাসে ১২ কেজি ওজন কমিয়েছেন করণ কুন্দ্রা! কীভাবে, ফাঁস করলেন রহস্য
Image Credit: Facebook
| Updated on: Aug 28, 2025 | 1:09 PM
Share

করণ কুন্দ্রা নিজের অভিনয় গুণে বলিউডে ছোট পর্দায় বেশ পরিচিত মুখ। বিগ বস সিজিন ১৫ তেও তাঁর এবং তেজস্বী প্রকাশের জুটি মন জয় করে ভক্তদের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করণ জানিয়েছেন মাত্র এক মাসের মধ্যে কীভাবে ১২ কেজি ওজন কমান তিনি। করণ জানান, এর জন্য তিনি কোনও স্ট্রিক্ট ফ্যাড ডায়েট বা শর্টকাটের আশ্রয় নেননি। বরং সাধারণ নিয়ম মেনেই ওজন ঝরিয়েছেন তিনি।

৪০ বছর বয়সী অভিনেতা জানান একদিকে যেমন শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করেন, অন্যদিকে খাবারের প্রতিও সমান ভালবাসা তাঁর। কীভাবে এক মাসে ১২ কেজি ওজন কমালেন তিনি?

ইয়রেজি সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করন কুন্দ্রা জানান, তিনি ফ্যাট ডায়েটের বদলে পুরোনো পদ্ধতিগুলোকেই বেছে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি আসলে মৌলিক জিনিসগুলিতে ফিরে গিয়েছিলাম। আমি ঘি খেয়েছি, যা শৈশব থেকেই আমার জীবনের অংশ, আর আমি উপোস করেছি।”

ভারতীয় ডায়েটকেই ফিটনেসের মূল মন্ত্র মানেন করণ কুন্দ্রা। নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুন্দ্রা জানান, তিনি ক্র্যাশ ডায়েট বা বিদেশি খাদ্য পরিকল্পনায় বিশ্বাস করেন না। কারণ তা তাঁর ভারতীয় দেহের সঙ্গে মানায় না। তিনি বলেন, “পশ্চিমা বা ভূমধ্যসাগরীয় সংস্কৃতি থেকে আমাদের জেনেটিক্স ও জীবনযাপন একেবারেই আলাদা। আমি আমার শিকড়ে ফিরে গিয়েছিলাম, আর সেটাই আমার জন্য কাজ করেছে।”

নিজের পরিবর্তন সম্পর্কে কুন্দ্রা জানান, ওজন কমানো তাঁর কাছে শুধুই শারীরিক পরিবর্তন ছিল না। এটি তাঁর জীবনদৃষ্টিকেও বদলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “এটি আপনার পুরো সত্তাকে পাল্টে দেয়—আপনার এনার্জি, ব্যক্তিত্ব, এমনকি জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও। দিনের শেষে কিছুই স্থায়ী নয়। না খ্যাতি, না টাকা, না সাফল্য। যা সত্যিই থাকে তা হল স্বাস্থ্য।”

বিগ বস প্রতিযোগী আরও বলেন, “আমি যত বড় হচ্ছি, দায়িত্ববোধও তত বাড়ছে। আমার বাবা-মা বয়সে প্রবীণ হচ্ছেন, একদিন আমারও পরিবার হবে। তাই এখন আমার কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকার স্বাস্থ্য।” তিনি আরও জানান, এই উপলব্ধি তাঁকে আরও সচেতন করেছে সুস্থতা নিয়ে—শুধু নিজের জন্য নয়, বরং তাঁদের জন্যও যারা তাঁর ওপর নির্ভরশীল।