Skin Care Tips: ফেসওয়াশ, টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার— কোনটা আগে লাগাবেন, কোনটা পরে?
Glowing Skin Tips: ত্বকের যত্নে আমরা নানা রকম কসমেটিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। যেমন - ফেসওয়াশ, টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম। কিন্তু অনেকেই জানেন না কোন ক্রমে এগুলো ব্যবহার করলে সঠিক ফল পাওয়া যায়। ভুল ক্রমে ব্যবহার করা হলে,কার্যকারিতা কমে যায়।

ত্বকের যত্নে আমরা নানা রকম কসমেটিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। যেমন – ফেসওয়াশ, টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম। কিন্তু অনেকেই জানেন না কোন ক্রমে এগুলো ব্যবহার করলে সঠিক ফল পাওয়া যায়। ভুল ক্রমে ব্যবহার করা হলে,কার্যকারিতা কমে যায়। তাই সুন্দর গ্লো পেতে হলে সঠিক ধাপে স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করা জরুরি। রইল সেই টিপস।
১. ফেসওয়াশ দিয়ে শুরু করুন
প্রথমেই ত্বক পরিষ্কার করা সবচেয়ে জরুরি। সারা দিনের ময়লা, ধুলো, ঘাম, তেল এবং মেকআপ ত্বকে জমে রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। তাই আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ফেসওয়াশ, আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফোম-বেসড ফেসওয়াশ ভালো। দিনে অন্তত দু’বার—সকালে ও রাতে—মুখ পরিষ্কার করুন।
২. টোনার ব্যবহার
ফেসওয়াশের পর টোনার ব্যবহার করলে রোমকূপ সঙ্কুচিত হয় এবং ত্বক পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত হয়। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে, বাড়তি তেল কমায় এবং হাইড্রেশন জোগায়। তুলোর বলে বা সরাসরি হাত দিয়ে আলতো চাপ দিয়ে টোনার লাগানো উচিত।
৩. সেরাম প্রয়োগ
টোনারের পর সেরাম ব্যবহার করা উচিত। সেরামে থাকে উচ্চ ঘনত্বের সক্রিয় উপাদান, যেমন—ভিটামিন সি, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড বা রেটিনল। এগুলো ত্বকের ভেতরে দ্রুত প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সমস্যায় কাজ করে—যেমন ব্রণ, দাগ-ছোপ, রিঙ্কল বা নিস্তেজ ভাব। সিরাম খুব অল্প পরিমাণে (কয়েক ফোঁটা) ব্যবহার করতে হয় এবং আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে মুখে মিশিয়ে নিতে হয়।
৪. ময়েশ্চারাইজার
সিরামের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং আগের ধাপগুলোতে ব্যবহৃত প্রোডাক্টকে সিল করে দেয়। ফলে ত্বক সারাদিন মসৃণ থাকে, টান পড়ে না এবং শুষ্কতার কারণে ক্ষতি হয় না। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল-বেসড ময়েশ্চারাইজার, আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিমি টেক্সচার উপযুক্ত।
৫. নাইট ক্রিম
দিনের বেলায় ময়েশ্চারাইজার যথেষ্ট, তবে রাতে ঘুমোনোর আগে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। নাইট ক্রিম তুলনামূলক ঘন এবং রিপেয়ারিং উপাদানে ভরপুর। এটি ঘুমের সময় ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনর্গঠন করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ দেরিতে আনে। তাই নিয়মিত নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে সকালে ত্বক অনেক বেশি সতেজ ও উজ্জ্বল দেখায়।
এছাড়াও বাইরে বেরোলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সব ধাপের মধ্যে অন্তত এক মিনিট বিরতি দিন, যাতে প্রোডাক্ট ত্বকে ভালভাবে শোষিত হয়। অতিরিক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে আপনার ত্বকের সমস্যার সঙ্গে মানানসই প্রোডাক্ট বেছে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
