Ilish Mach Recipe: দই কিংবা সর্ষে-পোস্ত নয়, বেগুন-কুমড়োর ঝোলেই ইলিশের আসল স্বাদ বজায় থাকে
Ilish Macher Tel Jhol Begun Diye: বেগুন -কুমড়ো দিয়ে এই ঝোলে কোনও মশলা পড়ে না। তাই সহজে হজম হয়। কোনও রকম সমস্যা হয় না। খেতেও লাগে অনেক বেশি ভাল
বর্ষায় বাজার জুড়ে এখন ইলিশের মরশুম। যদিও ইলিশের দাম নেহাৎ খুব একটা কম নয়। ভাল ইলিশের দাম প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ এর কাছাকাছি। তাও যে ইলিশের সেই গন্ধ আছে এমন কিন্তু নয়। আগে একটা বাড়িতে ইলিশ রান্না হলে সারা পাড়া সেই গন্ধে ম ম করত। কড়াইতে ইলিশ দিয়েই গন্ধ উঠত। থালা, বাটি, হাত ধোওয়ার পরও গন্ধ যেন লেগে থাকত। এখন ইলিশ খেলে সেই গন্ধ আর স্বাদ পাওয়া যায় না। ইলিশের কত রকম রান্না হয়। ভাপা ইলিশ, দই ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, ইলিশের তেল ঝাল, ইলিশ মাছের ভাজা- রেসিপির শেষ নেই।
ইলিশের তেল আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাত মেখে খেতেও দারুণ লাগে। তবে ইলিশের সবথেকে ভাল স্বাদ পাওয়া যায় বেগুন-কুমড়ো দিয়ে ঝোল বানালে। অনেকেই অ্যালার্জির কারণে সর্ষে খেতে পারেন না। দই দিয়েও অনেকে রান্না করা পছন্দ করেন না। ইলিশের একটা আলাদা স্বাদ থাকে। সর্ষে-পোস্তয় ইলিশের সেই স্বাদটা চাপা পড়ে যায়। আজ তাই রইল কুমড়ো-বেগুন দিয়ে ইলিশের দারুণ একটি রেসিপি। এই রেসিপি খেলে স্বাদ পাবেন আর মনও ভরবে।
এক্ষেত্রে কুমড়ো বড় করে কাটুন। কুমড়ো ভাজার জন্য যেমন বড় লম্বা করে কাটেন সেভাবে। বেগুন দুটো টুকরো করে নিন। ইলিশ আগে তেলে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। এবার বাকি তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বেগুন কুমড়ো দিন। হলুদ-নুন দিয়ে তা ভেজে নিন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে জল দিয়ে দিন। ঝোল ফুটতে শুরু করলে মাছ গুলো দিন। এই মাছ কারির পরিবর্তে ঝোল ঝোল করে খেতেই বেশি ভাল লাগে। গরম ভাতে ইলিশের ঝোল মাখিয়ে খান, অন্য কোনও কিছুর আর প্রয়োজন পড়ে না। তাই এবার এই ভাবে ইলিশ বানিয়ে নিন। যদি বেগুনে অ্যালার্জি থাকে তাহলে শুধুমাত্র কুমড়ো দিয়েই বানান।