Summer Drink: প্রয়োজন নেই এসির, এই কয়েকটি ড্রিংকেই ঠান্ডা থাকবে শরীর
Traditional Summer Drink: গরমের দিনে ঠান্ডা হতে এসি কিংবা ফ্রিজের জল নয়। ভরসা রাখুন এই কয়েকটি পানীয়তেই। এতে পেট যেমন ঠান্ডা থাকবে তেমনই শরীরও আরাম পাবে
গরমের দিনে আমাদের সকলকেই একাদিক সমস্যায় ভুগতে হয়। শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়া, কম জল খাওয়া এবং রোদ-ঘাম থেকেই কিন্তু এই সব সমস্যা বেশি হয়। এছাড়াও গরমে শরীরও তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। আর রোদ থেকে চটজলদি আরাম পেতে সকলেই এসি ঘরের খোঁজ করেন। আর এর সঙ্গে থাকে ফ্রিজের ঠান্ডা জল। এই ঠান্ডা জল আমাদের ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি দেয় ঠিকই কিন্তু এখান থেকে আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। হজম জনিত সমস্যাই সেখানে বেশি। আর তাই এই সময়টা নিজেদেরই সাবধানে থাকতে হবে। অনেক সময় উপায় থাকে না বলে বাইরের খাবার খেতে হয় ঠিকই, কিন্তু তা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তেমনই রোদের থেকে বাড়িতে ফিরে ঠান্ডা জল বা কোল্ডড্রিংকও কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। এর চেয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিন প্রয়োজনীয় কিছু ড্রিংক।
আমপোড়ার শরবত কিন্তু আমাদের ট্র্যাডিশন্যাল ড্রিংক। আর এই শরবত যে পদ্ধতিতে বানানো হয় তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। লু-থেকে সুরক্ষিত রাখতে দারুণ ভূমিকা রয়েছে কাঁচা আমের। এই কাঁচা আমে সেদ্ধ করে নিয়ে ওর পাল্পের সঙ্গে ভাজা মশলা গুঁড়ো করে বানানো হয় আমপোড়ার শরবত। এতে পেট ঠান্ডা থাকে। সেই সঙ্গে শরীরও ঠান্ডা হয়।
হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে দক্ষিণ ভারতে ভীষণভাবে ব্যবহার করা হয় অনন্তমূল। অনন্তমূল বেটে ওর সঙ্গে লেবুর রস আর বরফ কুচি মিশিয়ে বানানো হয় এই শরবত। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এর বিকল্প নেই।
গরমের দিনে চাহিদা বাড়ে এই জলজিরার। জিরে শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিয়ে গুঁড়ো করে ওর সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়ো, ব্ল্যাক সল্ট মিশিয়ে একটি মশলা বানানো হয়। আর তাই কিন্তু ব্যবহার করা হয় শরবত তৈরিতেও। জলজিরার শরবতে পেট ঠান্ডা থাকে, হজমেও কোনও সমস্যা হয় না।
গরমের দিনে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে চাহিদা বাড়ে অমৃতর। বাটার মিল্কের সঙ্গে জাফরান, জায়ফল গুঁড়ো আর বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে বানানো হয় এই পানীয়। এতে পেট থাকে ঠান্ডা। সেই সঙ্গে কিন্তু শরীরের একাধিক উপকারও হয়।
গরমের দিনে পেট ঠিক রাখতে এই মশলাদার বাটারমিল্ক অর্থাৎ সমব্রমও কিন্তু খুব জনপ্রিয়। দক্ষিণ ভারে বাটারমিল্কের সঙ্গে কাঁচালঙ্কা কুচি, আদা বাটা, ধনেপাতা কুচি আর টকদই মিশিয়ে এই পানীয় বানানো হয়। এতে পেট থাকে ঠান্ডা। হজমেও কোনও অসুবিধে হয় না।
গরম মানেই তালশাঁস খাওয়ার দিন। আর এই তালশাঁস দিয়েও কিন্তু দারুণ শরবত বানানো যায়। তালশাঁসের সঙ্গে মিছরি আর বরফ কুচি মিশিয়ে নিয়ে বানানো হয় এই শরবত। এতে পেট, মন দুই ঠাণ্ডা থাকে। শরীরের অতিরিক্ত তাপও শোষণ করে নেয় তালশাঁস।
আরও পড়ুন: Vegetable: টমেটো-বেগুন-পটল তো সবজি হিসেবেই চেনেন, কিন্তু আদতে যে এগুলি গাছের ফল জানতেন?