Hair Oil Use: তেলে হবে চুল তাজা, কীভাবে, কখন, কোন তেল মাখবেন জেনে নিন
Hair Care: আয়ুর্বেদ থেকে আধুনিক হেয়ার কেয়ার এক্সপার্ট সকলেই একবাক্যে বলেন, তেল চুলের জন্য এক অনন্য পুষ্টির উৎস। গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে, নারকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড চুলের গোড়ায় পৌঁছে ভেতর থেকে মজবুত করে।

যুগের পর যুগ ধরে চুলের যত্নে তেল (Hair Oil) ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদ থেকে আধুনিক হেয়ার কেয়ার এক্সপার্ট সকলেই একবাক্যে বলেন, তেল চুলের জন্য এক অনন্য পুষ্টির উৎস। গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে, নারকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড চুলের গোড়ায় পৌঁছে ভেতর থেকে মজবুত করে। আবার বাদাম তেলে থাকা ভিটামিন-ই চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে। অন্যদিকে আমলা বা ভৃঙ্গরাজ তেল চুলের গঠন উন্নত করে। তবে শুধু তেল লাগালেই হবে না, সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, সঠিক তেল ব্যবহার করলেই মিলবে আসল ফলাফল।
কখন তেল ব্যবহার করবেন?
- শ্যাম্পুর আগে – সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পুর ১-২ ঘণ্টা আগে তেল লাগানো সেরা। এতে তেল চুলে শোষিত হয়, আর শ্যাম্পুর রাসায়নিক প্রভাব থেকে চুল রক্ষা পায়।
- রাতে ঘুমানোর আগে – হালকা তেল লাগিয়ে মাথা ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, চুল ঝরাও কমে।
কীভাবে তেল ব্যবহার করবেন?
- হালকা গরম তেল – নারকেল বা বাদাম তেল হালকা গরম করে নিলে স্ক্যাল্পে দ্রুত শোষিত হয়।
- ম্যাসাজ – আঙুলের ডগায় তেল দিয়ে স্ক্যাল্পে হালকা চাপ দিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে রক্তসঞ্চালন বাড়বে।
- ভেজা চুলে তেল নয় – সবসময় শুকনো চুলে তেল লাগান। ভেজা চুলে তেল দিলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- অতিরিক্ত তেল নয় – চুলে ও স্ক্যাল্পে তেল বেশি লাগালে স্ক্যাল্পে ময়লা জমে খুশকি হতে পারে। অল্প পরিমাণ যথেষ্ট।
কোন তেল কোন সমস্যায়?
- চুল পড়ার সমস্যায় – নারকেল তেল ও কারি পাতার মিশ্রণ
- শুষ্ক ও রুক্ষ চুলে – বাদাম বা অলিভ অয়েল
- খুশকি – নিম তেল বা টি ট্রি অয়েল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে
কী মাথায় রাখবেন?
শ্যাম্পুর আগে তেল লাগানো বেশি কার্যকর, শ্যাম্পুর পরে নয়। অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে বারবার শ্যাম্পু করতে হয়, যা উল্টে চুল শুকিয়ে দেয়। তেল লাগানোর সময় মাথা নীচু করে ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন আরও বাড়ে।
