ট্রিমার ব্যবহার করে কী ত্বকের সমস্যা! বাঁচবেন কী উপায়…
এই অবস্থায় কী কী করবেন? শেভ করার ফলে কেটে যাওয়া অংশের যত্ন নেওয়ার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে, সেগুলি কী কী , তা একনজরে জেনে নিন…

ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম অনেকেই পছন্দ করেন না। আবার সমসময় সুযোগ সুবিধে অনুযায়ী পৌঁছে যাওয়া যায় না পার্লারে। কখনও আবার সময় থাকলেও বুকিং মেলে না। এই সময় সুরাহা হয়ে দাঁড়ায় ট্রিমার। বিভিন্ন ফেসিয়াল ট্রিমার অনলাইনে অর্ডার দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে। ফলে এগুলি এখন জলভাত। তবে শেভিং করার আগে বা সময় তেমন কোনও ঝুঁকি না থাকলেও অগ্নিপরীক্ষা শুরু হয় শেভিং করার পর।
শেভিং করার পর অনেকেরই ছোট ছোট ফুসকুড়ি, কেটে যাওয়া, কালো কালো ছোপ দেখা যায়। এই অবস্থায় কী কী করবেন? শেভ করার ফলে কেটে যাওয়া অংশের যত্ন নেওয়ার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে, সেগুলি কী কী , তা একনজরে জেনে নিন…
– কাটা জায়গাটি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। কাটা জায়গায় লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। এটি ফেটে যাওয়া ও শুকনো ঠোঁটকে নিমেষে নিরাময় করতে পারে। শুধু তাই নয়, ছোটখাটো কাটাও সারিয়ে তুলতে পারে। এই লিপবামগুলিতে পুষ্টিকর তেল, অ্যালোভেরা, শিয়া বাচার বা নারতেল তেলের মতো হাইড্রেটিং উপাদান থাকে। তাই ত্বককে মোমের মত টেক্সচারের কারণে রক্তপাত বন্ধ করে।
– কাটা ত্বকে ফটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এটি রক্ত প্রবাহকে সংকুচিত করে রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে। ৩০ সেকেন্ডের জন্য কেটে যাওয়ার অংশে একটি উষ্ণ ওয়াশক্লথ টিপুন, যতক্ষণ না রক্তপাত কম হয় বা বন্ধ হয়। উষ্ণ জল কাটা পরিষ্কার এবং ধীর রক্তক্ষরণ সাহায্য করে।
– অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডের কিছু ডেরিভেটিভ রয়েছে এমন জায়গায় ডিওড্রেন্ট ব্যবহার করুন, যা একটি “হেমোস্ট্যাটিক এজেন্ট”, অর্থাৎ এটি দ্রুত জমাট বাঁধে। প্রয়োগ করার আগে এটি আঙুলে বা একটি তুলোর প্যাডে ঘষুন। কাটা জায়গায় চাপ প্রয়োগ করুন। তাতে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
– কাটা যত গভীর হবে, তত বেশি সময় ধরে একটু কাপড়, টিস্যু লাগাতে হবে।
– সুদিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
– আপনার ত্বককে সব সময় হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড রাখতে হবে। যাতে কোনও রকম কাটা যায় না।
