Dwarahat: কুমায়নের এই ‘সাংস্কৃতিক শহর’ পর্যটকদের মধ্যে এত কেন জনপ্রিয় জানেন?

উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির মত জনপ্রিয় নয় দোয়ারাহাট। তবুও এই গ্রামের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস।

Dwarahat: কুমায়নের এই 'সাংস্কৃতিক শহর' পর্যটকদের মধ্যে এত কেন জনপ্রিয় জানেন?
দোয়ারাহাট, আলমোড়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2022 | 1:18 PM

নৈনিতাল (Nainital) থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রানিখেত (Ranikhet)। সেখান থেকে দেড় ঘণ্টার পথ আলমোড়া(Almora)। এই শৈলশহরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আরেকটি সুন্দর গ্রাম দোয়ারাহাট। উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির মত জনপ্রিয় নয় দোয়ারাহাট। তবুও এই গ্রামের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস।

দোয়ারাহাট যার অর্থ হল ‘স্বর্গের পথ’। অর্থাৎ এই গ্রাম থেকে আপনি স্বর্গে যাওয়ার পথ খুঁজে পেতে পারেন। আবার আলমোড়ার এই ছোট্ট গ্রামের একটি পোশাকি নামও রয়েছে। একে বলা হয় সাংস্কৃতিক শহর। যদিও এই নামের তাৎপর্য জানা না থাকলেও, এই গ্রামের মানুষেরা ঐতিহ্যের সঙ্গে কুমায়নি সংস্কৃতিকে সাথে নিয়ে বেঁচে রয়েছে। দোয়ারাহাটে বেড়াতে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য তীর্থ আর ইতিহাসকে একসঙ্গে জানা।

দেবভূমির প্রতিটি শহর ও গ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পুরাণ। রয়েছে নানা ধর্মীয় কাহিনি এবং ধর্মীয় তাৎপর্য। দোয়ারাহাটও এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। দোয়ারাহাট কাতুরি রাজবংশের বাসস্থান ছিল। সপ্তম ও দশম শতাব্দিতে এই কাতুরি রাজারা এই গ্রামে ৫৫টি মন্দির তৈরি করেছিল, যেগুলো ৮টি ভাগে বিভক্ত।

প্রাচীনকালে তৈরি এই মন্দিরগুলোর জন্যই আজও মানুষ ভিড় জমায় দোয়ারাহাটে। এমনকি এই গ্রাম বহু পর্যটকদের কাছে দোয়ারাহাট মন্দির নামে পরিচিত। ধর্মীয় তাৎপর্য ছাড়াও দোয়ারাহাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। নীল খোলা আকাশ আর সবুজে ঘেরা পাহাড়। আর চারিদিকে শুধুই নিস্তব্ধতা। কেউ যদি নিরিবিলি জায়গার খোঁজে থাকেন, একান্তে কিছুটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটাতে চান তাহলে ঘুরে যেতে পারেন দোয়ারাহাট।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপের পর থেকে অনেকেই ফিট ফ্রিক হয়ে উঠেছেন। আর যাঁরা যোগাসন করতে ভালবাসেন, তাঁরাও একবার ঢুঁ মেরে যেতে পারেন আলমোড়ার এই গ্রামে। হিমালয়ের কোলে যোগাসন, ব্যাপারটা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল। যদি এই গ্রামে যোগাসনেরও একটা ইতিহাস রয়েছে। দ্বারহাটের সবচেয়ে বিখ্যাত মহাবতার হল বাবাজি গুহা। এই গুহাটি হিমালয়ের ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের জন্য সেরা স্থানগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৮৬১ সালে মহাবতার বাবাজি লাহিড়ী মহাশয় এখানে যোগাসন শুরু করেছিলেন এবং এখানেই ক্রিয়া যোগ অর্থাৎ দ্বাপর যুগের জন্ম হয়েছিল।

গ্রীষ্মে দোয়ারাহাটের সবুজ সৌন্দর্য যে কারোর মন কেড়ে নিতে বাধ্য। শীতের সময় আবার অন্য রূপ দেখা যায় এই কুমায়নি গ্রামে। দোয়ারাহাটে সেই ভাবে তুষারপাত না হলেও আশেপাশের কয়েকটি অঞ্চল ঢাকা পড়ে সাদা বরফের চাদরে। তবে আপনি যদি দোয়ারাহাট যাওয়ার প্ল্যান করেন তাহলে বসন্তকালে কিংবা গ্রীষ্মকালে ঘুরে আসুন।

আরও পড়ুন: চিতোর থেকে পরাজয় মেনে ‘উদয়পুরা’ চলে এসেছিল মহারানা! তারপর কীভাবে গড়ে উঠল এই লেক ও প্রাসাদের নগরী?

আরও পড়ুন: ঘন সবুজ অরণ্য আর খরস্রোতা নদী! ‘পুষ্পা- দ্য রাইজ’-এর শুটিং লোকেশন কোথায় জানেন?