Snow Leopard: ১৬৫ কিমি ট্রেক করে হিমালয়ে পৌঁছলেন ফটোগ্রাফার, দেখা পেলেন একাকী তুষারচিতার

Viral Post: হিমালয়ের বুকে দাঁড়িয়ে স্নো লেপার্ডের ছবি তোলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন কিত্তিয়া। এভারেস্ট বেসক্যাম্পের কাছে গোরক্ষেপ এলাকায় কিত্তিয়া এই ছবি তুলেছেন।

Snow Leopard: ১৬৫ কিমি ট্রেক করে হিমালয়ে পৌঁছলেন ফটোগ্রাফার, দেখা পেলেন একাকী তুষারচিতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 3:44 PM

সাদা তুষারে ঢাকা রুক্ষ পাহাড়। তার এক শিখরে বসে রয়েছে একটি তুষারচিতা অর্থাৎ স্নো লেপার্ড। দূর-দূর পর্যন্ত কোনও জনমানব কিংবা অন্য কোনও বন্যজন্তুর চিহ্ন নেই। নেই সুবজের ছোঁয়া। পাহাড়ের চূড়ায় রাজকীয়ভাবে বসে একা স্নো লেপার্ড। যেন সে উপভোগ করছে হিমালয়ের নৈসর্গিক দৃশ্য। এই ছবি এখন ঘুরছে নেটিজ়েনদের টাইমলাইনে।

সম্প্রতি হিমালয়ের কোলে স্নো লেপার্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একদিকে মাউন্ট এভারেস্ট, অন্যদিকে মাউন্ট পুমোরি। মাঝ ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা স্নো লেপার্ড। এই রোমহর্ষক ছবিটা তুলেছেন মার্কিন চিত্রগ্রাহক কিত্তিয়া পওলস্কি। শুধু তাঁর তোলা এই ছবি যে নেটিজ়েনদের নজর কেড়েছে তা নয়। কিত্তিয়ার ১৬৫ কিমি ট্রেক করে গেছে এই ছবি তোলার জন্য।

View this post on Instagram

A post shared by Kittiya Pawlowski (@girlcreature)

নেপালের খুম্বু হিমবাহের ফ্যান্টম অ্যালিতে দাঁড়িয়ে কিত্তিয়া পওলস্কি স্নো লেপার্ডের বিরল দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছেন। ফ্যান্টম অ্যালিতে পৌঁছানোর জন্য কিত্তিয়াকে ১৬৫ কিমি ট্রেক করতে হয়েছে। এভারেস্ট বেসক্যাম্পের কাছে গোরক্ষেপ এলাকায় কিত্তিয়া এই ছবি দুটো তুলেছেন। ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে স্নো লেপার্ডের ছবি তোলার অভিজ্ঞতা ইস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছেন কিত্তিয়া নিজেই।

ছবি শেয়ারের পাশাপাশি কিত্তিয়া লিখেছেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে নিষিদ্ধ ভূখণ্ড, শ্বাসরুদ্ধকর উচ্চতা, উঁচু শিখর এবং উচ্চ মরুভূমির মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পরে এটা ছিল আমার তোলা কঠিন ও পুরস্কৃত ছবি”। কিত্তিয়া হিমালয়ের ওয়াল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির প্রজেক্টকে নাম দিয়েছেন ‘গোস্টস অফ হিমালয়’।

হিমালয়ের বুকে দাঁড়িয়ে স্নো লেপার্ডের ছবি তোলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন কিত্তিয়া। তিনি লিখেছেন, “বিশ্বের শীর্ষে দাঁড়িয়ে, ১০৩ মাইল ট্রেক করে স্নো লেপার্ডের সন্ধানে এসেছি। উত্তর-মধ্য নেপালের ৭,৬২৯ কিমি অন্নপূর্ণা সংরক্ষণ এলাকার রুক্ষ হিমালয় ল্যান্ডস্কেপে আমার অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। জোমসোমের ছোট্ট গ্রাম থেকে আমি কালী গন্ডকী নদীর ধারে উত্তরে লোয়ার মুস্তাংয়ে যাই। লুপ্রা, এক ডজন মাটির ঘর নিয়ে একটি মঠ—আমার অনুসন্ধানের প্রথম স্টপেজ ছিল।”

লুপ্রার মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পশুপালন করে আসছে এবং তাই স্নো লেপার্ডকে এদের জন্য ক্ষতিকারক। এমনটা কিত্তিয়াকে জানায় তার গাইড ইয়ুংডুং সেওয়াং। পাহাড়ের কোলে ছাগলের পালকে অনুসরণ করেছিল কিত্তিয়া। সেখানেই স্নো লেপার্ডের পায়ের ছাপ দেখতে পায় কিত্তিয়া। এরপর অন্নপূর্ণা সংরক্ষণ এলাকা থেকে সাগরমাথা জাতীয় উদ্যান দিয়ে ট্রেক করে এভারেস্টের পূর্ব অঞ্চলে পৌঁছে যায় কিত্তিয়া।

এখানেই কিত্তিয়ার যাত্রা শেষ হয়নি। তামাকোশি নদী উপত্যকায় একটি ছোট এয়ারস্ট্রিপে ৭ ঘন্টার যাত্রার পর, ১৮ জন যাত্রী মিলে একটি প্লেনে চড়ে কিত্তিয়া। পৌঁছে যায় বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দর লুকলায়। লুকলা থেকে সাগরমাথা জাতীয় উদ্যান দিয়ে এভারেস্টের দিকে পথ চলা শুরু করে কিত্তিয়া। ঝড়, জল, তুষারকে উপেক্ষা করে স্নো লেপার্ডের টানে এগিয়ে যায় কিত্তিয়া। অবশেষে মাউন্ট এভারেস্ট ও মাউন্ট পুমোরির ছায়ায় দেখা মেলে তুষারচিতার।