দিন দিন অলস হয়ে পড়ছেন? আপনার ‘ভিলেন’কে চিনে নিন
আজকাল ফিটফাট থাকাটা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ। একে তো কাজের চাপ, তার উপর ফাস্টফুডের চক্কর। সব মিলিয়ে জীবন একেবারে ঘেঁটে ঘ। তার উপর রয়েছে সফল হওয়ার টার্গেট। এসবের মাঝে পড়ে, অবসাদ ঘিরে ধরছে মনকে।
আজকাল ফিটফাট থাকাটা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ। একে তো কাজের চাপ, তার উপর ফাস্টফুডের চক্কর। সব মিলিয়ে জীবন একেবারে ঘেঁটে ঘ। তার উপর রয়েছে সফল হওয়ার টার্গেট। এসবের মাঝে পড়ে, অবসাদ ঘিরে ধরছে মনকে। আর তার ফলেই নানা সমস্যা। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সারা দিন ধরে ঘুম, ঘুম ভাব। ভাল লাগছে না বলে, নানা অভিযোগ, অজুহাত। মোদ্দা কথায়, অলস হয়ে পড়া। মনোবিদরা বলছেন, দিন দিন অলস হওয়ার নেপথ্যে কাজ করে আপনার মধ্যের ৪ ভিলেন। এই ৪ খলনায়কের কারণেই দিন দিন অলস হয়ে যাওয়া।
১) নিজের প্রতি সন্দেহ- জীবনের ইঁদুর দৌড়ে এগিয়ে থাকতে গিয়ে, কমবেশি সবাই কিছুটা হলেও, কাহিল। আর দৌড়ে পিছিয়ে পড়লেই ঘিরে ধরে হতাশা। সেই হতাশা থেকেই জন্মায় নিজের প্রতি সন্দেহ। অর্থাৎ আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি। যা মনের মধ্যে ক্রমাগত লড়াই তৈরি করে। যার ফলে সারাদিন ধরে অলস লাগে। কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। মন শুধু ডুবে থাকে অনিশ্চয়তায়।
২) কনফিউশন- বহু মানুষই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে অফিসে বুঝতেই পারেন না, যে তিনি যে কাজটি করছেন, তা ঠিক করছেন, নাকি ভুল। ফলে সারাদিন ধরেই ঘেঁটে থাকেন। কর্মক্ষেত্রে নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে, ঘাড়ে নিয়ে ফেলেন অতিরিক্ত দায়িত্ব। পরে সেই দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পূরণ করতে না পারলেই সমস্যা। ফলে এসব দুশ্চিন্তায় আরও ঘেঁটে যাওয়া।
এই খবরটিও পড়ুন
৩) অবসাদের কারণে আত্মবিশ্বাস এতটাই কমে যায় যে, নতুন কোনও কাজ করতে গেলেই, তা বিফলে যাওয়ার এক আতঙ্ক ঘিরে ধরে। আগে থেকে চিন্তা শুরু হয়, অসফল হওয়ার। এই নেগেটিভ চিন্তাই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। অলস অনুভব করায়।
৪) লোকে কী বলবে! হ্য়াঁ, বহু মানুষই নতুন কিছু করার আগে একশোবার এমন ভাবতে শুরু করেন। লোকের কথার উপরই নির্ভর করতে শুরু করে তাঁদের কাজের গুণমান। আর এর থেকেই জন্ম নেয়, অবসাদ এবং হীনমন্যতা।
কীভাবে দূর করবেন–
১) সফল হওয়ার শর্টকাট ফলো না করে, নিজের জীবনকে ছোট ছোট লক্ষ্য দিন। দেখবেন, জীবন বাঁচাটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ২) নিজের উপর, নিজের কাজের উপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের কাজটা একশো শতাংশ সৎভাবে করার চেষ্টা করুন। দেখবেন এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ৩) টাইম ম্যানেজমেন্ট করে নিন। সারাদিনের কাজকে সময়ে বাঁধুন। প্রয়োজনে রুটিন করে নিন। ৪) নিজেকে মোটিভেট করুন। মাথা থেকে নেগেটিভ চিন্তা দূর করুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন। দেখবেন এতে সুফল পাবেন।